পাহাড়ে আলোকিত হয়েছে, সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে’ – ইউএনও আলীকদম
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, আলীকদম ,বান্দরবান :
‘পাহাড়ে আলো এসে গেছে। পাহাড় আলোকিত হয়েছে। নানান গোত্রের মানুষ আর পিছিয়ে থাকবে না। পাহাড়িদের নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে হবে। সম্প্রীতি বজায় রেখে সুন্দর আলীকদম গড়তে হবে।’
আলীকদম উপজেলায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনে মিরিংচর প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিএসসি ও জেএসজি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন।
সোনে ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের উদ্যোগে আরণ্য জনদপদ আলী কদমের দুর্গমে ২০০৭ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সবুজাভ অরণ্যঘেরা মাতামুহুরী নদী বিধৌত পাহাড়ি অঞ্চলের অনিন্দ্য সুন্দর এক প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়টির অবস্থান। বিদ্যালয়ের পাশে মিরিংচর পাড়ায় মার্মা, চাকমা, মুরুং ও ত্রিপুরার নৃগোষ্ঠীর লোকজনের সমন্বয়ে কসমোপলিটন ভিলেজটি গড়ে উঠেছে অর্ধশত বছর আগে। এ পাড়াটি জনবৈচিত্র্যের দিক দিয়ে পুরো আলীকদম উপজেলায় অনন্য।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কেংক মুরুংয়ের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দেব, নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, তহ্জিডংয়ের প্রকল্প কর্মকর্তা স্বাগত ধর, আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ, রিপোর্টাস ক্লাবের সেক্রেটারী জয়দেব রানা ও সোনে ইন্টারন্যাশনারের স্থানীয় প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাবরাং ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বিদ্যালয়ের জন্য শহীদ মিনার ও ডিপ টিউব ওয়েল স্থাপন করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, বেসরকারি সংস্থা সোনে ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের উদ্যোগে আলীকদমে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। সব ক’টি বিদ্যালয় দুর্গমের বাসিন্দাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার আলো দানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে জানান মিরিংচর পাড়ার কার্বারী কেংক মুরুং। তিনি এসব বিদ্যায় সরকারিকরণ করা হলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপকার হওয়ার পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে জানান।