Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলরাজনীতিসারাদেশ

পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষা-স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ,আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে বর্তমান সরকার – কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, পানছড়ি,খাগড়াছড়ি:
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশের বসবাস তিন পার্বত্য জেলায়। এক সময় পাহাড়ের গায়ে গড়ে ওঠা বন জঙ্গলই এসব এলাকায় বসবাসকারী উপজাতিদের জীবন-জীবিকা। এ সব পাহাড়ি জনপদে শিক্ষার হার ছিল অনেক কম। স্কুলগামী শিক্ষার্থীর চেয়ে ঝরে পড়ার হারই ছিল বেশি। এর প্রধান কারণ ছিল বিদ্যালয় সংকট, শিক্ষক সংকট, অনুন্নত রাস্তাঘাট, দরিদ্রতা, কুসংস্কার, অবহেলা-অসচেতনতা, সর্বোপরি শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশের অভাব। সংগত কারণেই প্রত্যন্ত এলাকার বসবাসকারীদের স্বপ্নের মধ্যেও ছিলনা তার ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়বে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত হবে। এখন পার্বত্যাঞ্চলের প্রতিটি বিদ্যালয় পাকা দালান হয়েছে। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আপনার সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠান, সন্তানকে সু শিক্ষা দিন;সু শিক্ষার বিকল্প কিছুই নাই।

 

১৯ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) পানছড়ির অর্থায়নে ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত পানছড়ির লোগাং বাজার ও কালানাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন ও লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য কালে ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি একথা বলেন।

 

তিনি আরো বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় জুমে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য বাজার জাতের অভাবে ক্ষেতেই পঁচে যেত অনেক সময়। পার্বত্যাঞ্চলের বাসিন্দাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ,আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শান্তি চুক্তির আলোকেই পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তির সুবিধা সবই এখন সেখানে বিদ্যমান। ধারবাহিকভাবে পার্বত্য জেলা সমূহে উন্নয়নকাজ এগিয়ে আনা হচ্ছে। দুর্গম পাহাড়ে জ্বলছে বিদ্যুতের বাতি, গড়ে উঠছে সড়ক ব্যবস্থা আর পর্যটন কেন্দ্র। যার বদৌলতে পাল্টে যাচ্ছে পাহাড়ের জনজীবনের রূপ ধারা। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে আগামীতেও নৌকার সাথে থাকি।

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন, উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. আশুতোষ চাকমা, কল্যান মিত্র বড়ুয়া , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব, ইউপি চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা, প্রধান শিক্ষক মিহির চাকমা সহ বিদ্যালয় সমুহের শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী , অভিভাবক ও স্থানীয় নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Back to top button