পানছড়ির কিসিঞ্জার চাকমা জেলা প্রশাসকে পদোন্নতি ; আনন্দে ও অভিনন্দনে পাড়াবাসী
স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী র লোকজন এক সময় পিছিয়ে ছিলো। মূল ধারার আর্থসামাজিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন বর্তমানে শিক্ষা, চিকিৎসা ও জন প্রশাসন কর্মস্থলে এখন অনেকাং শেই এগিয়ে আছে। তবে পার্বত্য অঞ্চলে চাকমারাই বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারই ধারাবাহিকতায় সফলতার উজ্জল তাঁরা হয়ে দেখা দিয়েছেন, খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ৫ নং উল্টাছড়ি ইউনিয়নের অজ পাড়াগায়ের মৃত প্রীতি রঞ্জন চাকমার পরিবার।
১০ জুলাই ২০২৩ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে ওই প্রজ্ঞাপনে সই করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি। এতে মেহেরপুর, শেরপুর, জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, রংপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিসিএস ২৭ তম ব্যাচ প্রশাসন ক্যাডার ড. কিসিঞ্জার চাকমা। তিনি পার্বত্য এলাকার প্রতন্ত খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ৫ নং উল্টাছড়ি ইউনিয়নের অজ পাড়াগাঁ উত্তর শান্তি পুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পিতা মৃত প্রীতি রঞ্জন চাকমা পেশায় প্রাণী সম্পদ বিভাগের সহকারী অফিসার হিসাবে চাকুরী করতেন। ২০০৮ সালে অবসরে এসে গ্রামের মানুষদের দেশীয় পশু পালনে উৎসাহিত করেন। পাশাপাশি কৃষি কাজ দেখাশুনা করেই সময় কাটাতেন। গত ২০২০ সালে তিনি পরলোক গমন করেন।
প্রীতি রঞ্জন চাকমার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ১ম বড় মেয়ে শিউলি চাকমা গৃহিনী, ২য় সন্তান ছেলে নিউটন চাকমা পানছড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সবার ছোট বিসিএস ২৭ তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন । এর আগে তিঁনি উপসচিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর স্ত্রী নিষ্কৃতি চাকমা সিএমপিতে পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বকুল চন্দ্র চাকমা জানান, পানছড়ির কৃতি সন্তান ড. কিসিঞ্জার চাকমা জেলা প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকে। পানছড়ির সাধারন মানুষও এ নিয়ে আনন্দিত ও গর্ভবোধ করছেন। সকলের মনোবাঞ্চা যোগদানের পরই চুয়াডাঙ্গায় নানামুখী উন্নয়ন ভূমিকা, সাধারণ লোকজনের মধ্যে প্রশংসার স্বাক্ষর রেখে পার্বত্যাঞ্চলের সুনাম ধরে রাখবেন।