পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের দাবিতে গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত
চেঙ্গী দর্পন , পানছড়ি, খাগড়াছড়ি :
পার্বত্যাঞ্চালে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে উপজাতিয় আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ, ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিক) , জেএস এস (সন্তু) ও জেএসএস ( সংস্কার) নামে ৪টি সংগঠনের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের দাবিতে এক গ্রাম্য সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৩১ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার দুপুরে লতিবান ইউনিয়নে সনজয় চাকমার সঞ্চালনায় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি আহবায়ক ও পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শান্তি জিবন চাকমা’র সভাপতিত্বে লতিবান ও উল্টাছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া এলাকার জন সাধারন নিয়ে গ্রাম্য সভার আয়োজন করা হয়।
পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংঘাত বন্ধের দাবিতে সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবিনা চাকমা, কাব্বারী সেকেন্ড চাকমা, দয়াময় ত্রিপুরা, বিনয় কৃঞ্চ চাকমা, ব্রজদত্ত ত্রিপুরা, নিরঞ্জন ত্রিপুরা, রাপ্রুচাই কাব্বারী প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামে শাসকগোষ্ঠীর উস্কানীতে পাহাড়ে ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি হানাহানি চলমান চলছে।আমরা সকল আঞ্চলিক সংগঠনকে যার যার সাংগঠনিক এলাকায় গিয়ে জনগণের পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ করবো। পার্বত্য চট্রগ্রামের মেহনতি মানুষ ক্ষেতে খাওয়ার মানুষ আজ পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত থাকার কারণে, আতংকিত অবস্থায় জীবন যাপন করতেছে। তাই এই গ্রাম সভায় থেকে অনতিবিলম্বে সংঘাত বন্ধ করে অধিকার আদায়ে সংগ্রামে এক হয়ে আন্দোলন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।এছাড়াও আসন্ন বৈসাবি (বিঝু-বৈসু-সাংগ্রাই) শান্তিতে পালন করতে জেএসএস -ইউপিডিএফকে মারামারি হানাহানি বন্ধ করে গোল টেবিলে আলোচনা করে সংঘাত বন্ধ করার দাবি জানান।
ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি আহব্বায়ক ও উপজেলা চেয়াম্যান শান্তি জীবন চাকমা বলেন,পাহাড়ের মানুষ ভালো নেই, জেএসএস-ইউপিএফ যতদিন ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত শান্তি বয়ে আসবেনা।উপস্থিত সকলে মাঝে ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি মারামারি বন্ধ করো করতে হবে,ইউপিডিএফ জেএসএস এক হও, লড়াই করো,ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করো করতে হবে, শ্লোগান হয়। পরে সবাই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চাই না বলে মুস্টিবদ্ধ হাত উচিয়ে সংঘাত চাই না বলে সবাই জানান।