খাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চল

পানছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি:
পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে “কল্পনা চাকমার অপহারণ কারীদের দায়মুক্তি ও সেনা অধিকৃত পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীদের সংগ্রাম” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

৩ মে ২০২৪ শুক্রবার সকাল ১১ টায় পানছড়ি উপজেলার তারাবন এলাকায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের পানছড়ি সভাপতি মিনতি চাকমার সভাপতিত্বেে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য সচিব চাকমা।

 

 

ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য সচিব চাকমা ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে যে অবস্থা এবং নারীদের যেভাবে সংগঠিত হওয়ার কথা সেভাবে সংগঠিত হতে পারছে না। তার পেছনে রয়েছে পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নানা সীমাবদ্ধতা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে আজ নারীরা বিভিন্নভাবে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে। নারীদেরকে এসব সীমাবদ্ধতা ও বাধা কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে আশার কথা হচ্ছে, নানা বাধা-বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীরা সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

তিনি সকল বাধা পেরিয়ে নারী সমাজকে সংগঠিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘকে শক্তিশালী করে আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য মিতি চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা, কেন্দ্রীয় সদস্য মন্দিরা চাকমা, ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের সমন্বয়ক আইচ্যুক ত্রিপুরা, পিসিপির সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফ সংগঠক সুমেন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বরুন চাকমা ও পিসিপি’র পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সুনীল ময় চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের প্রয়োজনে ইউপিডিএফ’র সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমনি ভাবে আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০১৩ সালের ৩ মে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছি, হয়তো বিভিন্ন কারণে সেটা প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা যদি চুপ করে থাকি তাহলে শাসকগোষ্ঠি আমাদের ওপর আরো বেশি নির্যাতন চালানোর সাহস পাবে। তাই আমাদের নারীদেরকে সকল নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে, আন্দোলন করতে হবে।

Related Articles

Back to top button