পানছড়িতে একদিনে ২২টি কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,পানছড়ি,খাগড়াছড়ি : সারা দেশের ন্যায় সিমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২২ টি টিকা কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ শনিবার সকাল থেকে দুর্গম পাহাড়ী এলাকার পূর্ব নির্ধারিত কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র সমুহে টিকা প্রদান শুরু হয়। উপজেলা প্রশাশন ও পানছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ ও ৫ ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে যুব রেডক্রিসেন্ট পানছড়ি ইউনিটের স্বেচ্ছাশ্রমে সু শৃঙ্খল পরিবেশে টিকা কেন্দ্র সমুহে মানুষের টিকা গ্রহনের জন্য উপচে পড়া ভীর ছিলো।
দুর্গম পাহাড়ী এলাকা সমুহের তক্কীরামপাড়া ,চন্দ্র হরি পাড়া, রামতনু পাড়া,মিল্টন পাড়া, হাতিমারা , দুর্গামনি পাড়া,জগপাড়া,কনা রায় পাড়ার বিলসন ত্রিপুরা, কিরণ ত্রিপুরা,সন্তোষ চাকমা, মায়াবতি ত্রিপুরা,থনই চাকমা সহ অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, টিকা গ্রহনে আমাদের আগ্রহ থাকলেও ইন্টারনেট ও মোবাইল নেট ওয়ার্ক সহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সদরে গিয়ে টিকা দেওয়া ও রেজিষ্ট্রেশান সম্ভব হয় নাই । সরকারের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমা জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে কোভিড -১৯ টিকা গ্রহনে উপযোগী ৭৫ হাজার লোক বসবাস করেন। তন্মধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কোভিড ১ম ডোজ ৬৬% লোক , ২য় ডোজ ৫৬.১৭% লোক এবং ১২ বছর থেকে ১৮ এর নিচের ৫৬০০ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী টিকা গ্রহন করেছন। ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ শনিবার সকাল থেকে কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহন করেন নাই এমন স্থায়ী বাসিন্দা সহ ভ্রাম্যমান লোক ,তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন সহ প্রায় ২৫০০ জন ও ১২ থেকে ১৮ এর কম বয়সী ছেলে মেয়ে (বিদ্যালয়ে যায় না) ও ছাত্র-ছাত্রী সহ প্রায় ১২০০ জনকে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আশাকরি পানছড়ির মোট জনসংখ্যার ৭০% লোক কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ জানান, ৫ টি ইউনিয়নের প্রত্যেক নাগরিককে টিকার আওতায় আনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো। ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ রবিবার কোভিট -১৯ ভ্যাকসিন ১ম ডোজ টিকা গ্রহনের লক্ষে জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধকরনের জন্য সরকারী কর্মকর্তা ,জনপ্রতিনিধিও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে দিক নির্দশনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভা করি। সেই সিদ্ধান্ত মতে বহুল প্রচারের জন্য মাইকিং সহ ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্ধারিত টিকা কেন্দ্র ছাড়াও প্রতিটি দুর্গম এলাকায় মোভিলাইজেশান টিমের মাধ্যমে কোভিড ভ্যাকসিন পৌছাতে পেরেছি।