খাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

নারীদের অনুপ্রেরণায় গাড়ী চালনায় খাগড়াছড়ির সুই চিং থুই মারমা

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক , খাগড়াছড়ি :
সবুজে ঘেরা পাহাড়,খাগড়াছড়ির অগ্নিকন্যা। রাজনৈতিক-সামাজিক-সমাজসেবাসহ সকল ক্ষেত্রে অধিকতর যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। যার কথা বলছিলাম তিনি হচ্ছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নারী নেত্রী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সুই চিং থুই মারমা।

 

 

তিনি বর্তমানে নিজেই গাড়ী চালিয়ে কর্মস্থল,সামাজিক ও ব্যক্তিগত কাজে যাচ্ছেন,নিজের সন্তানদের স্কুল কলেজে দিয়ে আসছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সকল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। সমতলের মতো পাহাড়ের নারীরাও পেশাদার ও অপেশাদার দু’ভাবেই গাড়ি চালনায় এগিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য বাসীর জন্য নারীর অগ্রগতির এটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

 

 

নারীদের মধ্যে প্রথম গাড়ী চালনায় সুই চিং থুই মারমা এ জেলার সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন। তাকে দেখে অন্যান্য নারীরাও অনুসরণ করছে গাড়ী ড্রাইভিং এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করে যাচ্ছেন যে,নারীর অগ্রগতি সূচকে পার্বত্য এলাকার নারীরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। নারীরা আর অবরোধবাসিনী নন। এই গাড়ী চালনার পেছনে উনা স্বামী উশিং মং চৌধুরী’র ভূমিকা অনস্বীকার্য।

 

এ ব্যাপারে সুই চিং থুই মারমা বলেন,সব সেক্টরেই নারীরা এখন পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য দেশের নারীরা গাড়ী চালনায় অনেক এগিয়ে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো? গাড়ি চালনার মতো রোমাঞ্চকর ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশাতেও এদেশের নারীরা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

 

তিনি আরও বলেন,কখনো থেমে না গিয়ে চলতে থাকলে সফলতা আপনা আপনিই ধরা দেয়। নারীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নারীদের ঘরে বসে থাকলে চলবেনা। বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে হবে,বুঝতে হবে। আমরা নারীরা এগিয়ে গেলে জাতি,সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে। সব ক্ষেত্রে নারীদেরকে দক্ষ হতে হবে। সকল ক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়েজিত করতে পারবে। মনে প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে গাড়ী চালানোর দক্ষতা অর্জন করা কঠিন কাজ নই বলে জানান তিনি।

 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুরুষের তুলনায় নারীদের হাতে ড্রাইভিংকে আমরা নিরাপদ মনে করি। তিনি(সুই চিং থুই মারমা) অনেক সর্তকতার সাথে গাড়ি চালান। উনার মতো করে ধীরে ধীরে নারী গাড়িচালকদের কদর বেড়েই চলুক আমাদের পাহাড়ে । আমরা মনে করি নারীর হাতে গাড়ি মানে নিশ্চিন্তে গন্তব্য পাড়ি বলে মন্তব্য করেন তারা।

 

জানা যায়, সুইচিং থুই মারমা ১৯৯৭সালে এসএসসি পাস করেন,এইচএসসি পাস করেন ১৯৯৯সালে ২০০১সালে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ৩ সন্তানের জননী। সংসারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সেবামূলক কাজের সাথে নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি’র দায়িত্বে আছেন।

Related Articles

Back to top button