অপরাধসারাদেশ

দাউদকান্দিতে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্র সহ আটক ৫

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, দাউদকান্দি , কুমিল্লা  :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র সহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

শনিবার (৪ মে) বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। আটককৃত আসামিরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মো. মিলন মিয়া (২৮), দেবিদ্বার উপজেলার মো. মামুন মিয়া (১৮), দাউদকান্দি উপজেলার মো. বাবু মিয়া (২২), দাউদকান্দি উপজেলার পারভেজ (২২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মো. হৃদয় মিয়া (১৬)।

 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, শনিবার (৪ মে) রাত বারোটায় পুলিশের একটি টহল টিম রাতে ডিউটি করাকালীন গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান সরকারি কলেজের সামনে পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে একটি নির্জন জায়গায় কয়েক জনকে সমবেত অবস্থায় দেখে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, তিনটি রাবার কার্তুজ, লোহার পাইপ, দুটি লোহার ছোরা, একটি দা উদ্ধার করা হয়।

 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় কুমিল্লার দাউদকান্দি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাতে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, ডাকাতি পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করে আসামীরা জানায় যে, তারা গৌরীপুর এলাকায় বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছিল। এছাড়াও আসামীরা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার থানা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বাসা বাড়িতে একাধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার মামলায় অন্যান্য আসামী কর্তৃক দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উক্ত আসামীদের নাম প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা যায়।

 

এই কর্মকর্তা আরো জানান, আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা বাসা বাড়িতে ডাকাতি করার পূর্বে তাদের কিছু লোক সে এলাকায় ফেরিওয়ালা সেজে যাতায়াতের পথ ঘটনার পূর্বেই জেনে নেয়। এছাড়াও তারা বৃষ্টির রাত, অমাবশ্যার রাত বা তার আগে ও পরে অন্ধকার রাত্রীতে ডাকাতি করে থাকে। দাউদকান্দি উপজেলার বরকোটা গ্রামের সাধন দাসের বাড়িতে জানুয়ারি মাসে এবং মোহাম্মদপুর মধ্য পাড়া মোঃ রফিকুল ইসলাম এর বাড়িতে গত বছরের জুন মাসে ডাকাতি করেছে বলেও আসামিরা স্বীকার করে। তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। জিজ্ঞসাবাদে তাদের দলের আরো কতিপয় ডাকাতের নাম প্রকাশ করেছে। তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

Related Articles

Back to top button