পার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

থানচিতে ৪ টি গণশৌচাগার বন্ধ ; বিপাকে পর্যটক সহ স্থানীয়রা

স্টাফ রিপোর্টার ,বান্দরবান:
বান্দরবানে থানচি উপজেলাটি প্রাকৃতি সৌদর্য্য লীলাভূমি পর্যটক নগরী নামে পরিচিত ও বিখ্যাত । এ উপজেলার প্রকৃতি এমনভাবে সেজেছে যেন স্বর্গীয় রূপের প্রতিচ্ছবি।প্রতি বছর এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন য়াফাখুম,রাজা পাথর,রেমাক্রীখুম সহ অনেক বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।

 

কিন্তু এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে পর্যটকদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। পর্যটক গাইড অফিসের পাশের ২ টি এবং বিজিবি চেক পোস্টে পাশে ১টি বাস স্টেশন বাজারে মোট ৪টি”শৌচাগার ” মধ্যে একটি ব্যবহারের অনুপযোগী অপর একটি ২টি রেস্টুরেন্টে মালিকের নিজস্ব ব্যবহৃত অন্যটি বন্ধ রয়েছে বছর জুড়ে। প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে যেমন পর্যটকদের চরম বিপাকে পড়তে হয় তেমনি এলাকায় বাজারে আসার স্থানীয় মা -বোনেরা ও দুর্ভোগের শিকার হন। পর্যটকরা এ বিষয়ের ক্ষোভ ও প্রকাশ করেছেন।

 

১২ আগস্ট ২০২৫ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) অর্থায়নের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলায়(নন-মিউনিসিপাল) মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয় প্রকল্পের “থানচি তথ্য সেবা কেন্দ্রের জন্য পাবলিক টয়লেন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও থানচি বাস স্টেশনের ১টি, পদ্দঝিড়িঁ দোকানে পিছঁনে ১টি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নের বিজিবির চেক পোস্টের পাশে ১টি সহ মোট চার’টি গণশৌচাগার থাকলেও ২টি শৌচাগার বন্ধ রয়েছে বছর জুড়ে। অপর দু’টি ব্যবহাযোগী হলেও ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ভাবে ব্যবহার করে আসছে।

 

 

থানচিতে পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমনের রাজধানী ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক বেসরকারি চাকরিজীবী মোঃ আব্দুল রহমান বলেন, আমরা সারাদিন গাড়িতে করে একটু প্রশান্তির জন্য থানচি’র দেখতে আসি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, শৌচাগার গুলো তালা ঝুলানো। যে কারণে আমরা যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসি তাদের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে চরম লজ্জ্বায় পড়তে হয়।

 

একই অভিযোগ করেছেন নারী পর্যটক স্ত্রী শাজেদা। তিনি বলেন, পুরুষরা যেখানে-সেখানে কাজ সাড়তে পারলেও আমাদের মতো নারীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ ; পর্যটকদের কথা ভেবে দ্রুত যেন এখানে শৌচাগার চালু করে দেয়।

 

থানচি গাইড সমিটি সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, “শৌচাগার” ব্যাপারে আমরা দিলু নামে এক ব্যক্তিকে অনেকবার মুঠো ফোনের বলেছি চালু করে রাখতে। কারণ সে উপজেলা প্রশাসন থেকে পর্যবেক্ষণের জন্য লিষ্ট নিয়েছিলো। এ বিষয়ের আমরা ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

 

এ বিষয়ের এলজিইডির লামা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ বলেন, “জুন মাসের শেষ দিকে থানচির দায়িত্ব পেয়েছি, মাঝে মাঝে থানচি যাওয়া হয় কিন্তু আমাকে এ বিষয়ের আমার স্টাফরা কোন সময় বলেন নি। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি খুব দ্রুত প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Related Articles

Back to top button