
চেঙ্গী দর্পন, জাবি প্রতিবেদক:
বহিরাগত এক দম্পতিকে কৌশলে ক্যাম্পাসে এনে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রবিবার বেলা দুপুর ২ টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। এর আগে শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম এর কাছে ৩ দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে, অছাত্রদের হল থেকে বের করতে হবে, এই ধর্ষণের বিচার ছাড়া সিন্ডিকেট নয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামিমা সুলতানা বলেন, এমন অথর্ব প্রশাসন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলে না। প্রশাসনকে বলেছিলাম ৪২ ও ৪৩ ব্যাচ যারা অবৈধ শিক্ষার্থীরা কোন অন্যায় করে সেটির বিচার আপনারা করতে পারবেন না। এখন দেখবো এই ৪৫ ব্যাচ যারা কান্ডটা ঘটিয়েছে তদের বিচারটা কী করেন?
এ ঘটনায় জড়িতদের সার্টিফিকেট বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা সজাগ থাকলে প্রশাসন যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেনা। প্রক্টরিয়াল বডির বিচার ও পদত্যাগের দাবি করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি ও সার্বিক বিষয় সম্পর্কে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, জরুরি সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সংবাদ প্রকাশ পর্যন্ত সিন্ডিকেট মিটিং চলছে।
পাশাপাশি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, আমরা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠেই থাকবো।
এর আগে, গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নং কক্ষে বহিরাগত দম্পত্তির ওই স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও মামুনুর রশীদ মামুন।
অভিযুক্ত মোস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তবে এই ঘটনার জেড়ে তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।