স্টাফ রিপোর্টার , কুমিল্লা :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি, সাজ সরঞ্জাম প্রস্তুত করেছি। নির্বাচনকে ঘিরে আমরা দায়িত্ব পালনে পুরো প্রস্তুত। কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ চালান রোধে আমরা সর্বোচ্চ কাজ করছি। আমাদের সীমান্ত হচ্ছে ৪ হাজার ৪ শত ২৭ কিলোমিটার । পেট্রোলিং এর টাইমে টহলে একটু ফাঁকা পেলেই মাদক চোরাকারবারীরা এই সুযোগকে কাজে লাগায়। স্থানীয়রা জড়িত না থাকলে, মাদকের সরবরাহ অনেকাংশে কমে যাবে।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি চূড়ান্ত ফায়ারিং প্রতিযোগিতা ও মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, স্থানীয়রা তাদের সন্তানকে বর্ডারে না পাঠিয়ে স্কুলে পাঠালে তাহলে তারা মাদকের সাথে নিজেকে জড়াবে না। এবছর আমরা ১ শত ১১ কেজি ক্রিস্টাল আইস জব্দ করেছি। এটা বিজিবির জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমরা বাহিরে থেকে আসা মাদকই নয়, দেশে উৎপাদন কার্যক্রমকেও আমরা রোধ করছি। আমরা শতভাগ ধরতে না পারলেও, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
এ সময় অন্তত গেলো এক বছর ধরে বিভিন্ন অভিযানে জব্দ অন্তত ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করা হয়।
এর আগে কুমিল্লার ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৩’ অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পরে বিজিবির মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে কুমিল্লা সীমান্তে এক বছরের ( বাজারমূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা) জব্দকৃত ৩৬,২৩৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৬,৯৩৮ কেজি গাঁজা, ৬৬,৭৭০ বোতল বিদেশী মদ, ৪,৭০২ ক্যান বিয়ার, ৭৩,১৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫,০১৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৩২,৩৫৮ পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট এবং ১,০১,৮৯২ পিস টার্গেট ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট মাদক ধ্বংস করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, রিজিয়ন কমাঃ সরাইলের ব্রিগেঃ জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লা ব্যাটেলিয়ন ১০ এর কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ, অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমরুল হাসান সহ বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, কুমিল্লা সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থিত সকলকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক নিজেই ফায়ারিং এর মাধ্যমে নিপুণ লক্ষ্যভেদ করে অস্ত্র চালনার ব্যাপারে তার পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন।