ছাত্র- জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে – কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ
স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
খুনি হাসিনা মনে করেছিল তাঁর চেয়ারে একমাত্র তিনিই অপরিহার্য্য। তিনি সব সময় বলেছেন বিকল্প কে ? বিকল্প কে ? বিকল্প কে ? আমরা জনগণ বিকল্ল খুঁজে নিয়েছি। ছাত্র- জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের মনিব চলে গিয়েছে কিন্তু মনিবের দোসররা আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে। তারা বিভিন্ন রূপে আমাদের মাঝে এসে ইউনিটিকে ভাঙার জন্য চেষ্টা করতে চাইবে। আপনাদেরকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। এখন দেশটা পুনর্গঠনের সময়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি টাউন হলে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক সমাজের মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, সকল স্থরে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দেয়া উচিত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে পূজি করে যারা আবারও চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী আর সিন্ডিকেট করতে চান; তাদেরকে এই সুযোগ আর দেয়া হবেনা বলে কঠোর হুঁশিয়ারী দেন তিনি। ।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে দেশের অর্থনীতিকে ধংস করে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১১ লাখ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে গেছে উল্লেখ করে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে ক্ষমতামুখী না হয়ে জনমুখী হওয়ার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভা শুরু হওয়ার পরপরেই অনুষ্ঠানে কতিপয় ব্যক্তিদের কারণে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠানে হট্টগোল,বিশৃঙ্খলা ও ব্যাঘাত ঘটে। পরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে। তখন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বক্তব্য শুরু করেন ।
সারাদেশে জনমত গঠনের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি সফরে আসেন কন্দ্রীয় নেতারা । এ সময় চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।