চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও আমাদের প্রস্তুতি” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি:
এআই আমাকে পরিচালিত করবে না, আমি এআই-কে পরিচালনা করবো। আমরা কেউ যেন এআই-এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে বরং এআইকে মানব কল্যাণে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি”-চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব উদ্দিন।
২৭ নভেম্বর ২০২৫ ,বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ির মিলনপুরস্থ হোটেল গাইরিং কনফারেন্স হলে তিনদিনব্যাপি “চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও আমাদের প্রস্তুতি” শীর্ষক সেমিনার ও কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম সুমনসহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
উদ্বোধনী পর্বে জাবারাং কল্যাণ সমিতির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর বিনোদন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মিলনপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি তৃণা চাকমা, খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অংপ্রু মারমা, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মনিষা তালুকদার, জাবারাং কল্যাণ সমিতির প্রজেক্ট ম্যানেজার দয়ানন্দ ত্রিপুরাসহ আরও অনেকে।
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,রোবটিক্স ,ইন্টারনেট অব থিংস,বিগ ডাটা,ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি,স্বয়ংচালিত প্রযুক্তি ইত্যাদি দ্রুত পরিবর্তন আনছে আমাদের জীবন, কর্মসংস্থান ও শিল্প খাতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপ্লবের মূল শক্তি মানুষ, তাই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ ও সৃজনশীলভাবে ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করাই হবে ভবিষ্যতের বড় চ্যালেঞ্জ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সঠিক নীতি, প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারলে পাহাড়ি অঞ্চলেও ৪IR প্রযুক্তি শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা ও উদ্যোক্তা বৃত্তিতে অসীম সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে।
তিনদিনব্যাপি এই কর্মশালায় শিক্ষক,নারী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন।




