চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মোবাইল নম্বর ক্লোন
জনগনকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ
চট্টগ্রাম :
প্রযুক্তি বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তাদের দু’ জনের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায়ের প্রচেষ্টা করেছে এই ‘প্রযুক্তি চোরের দল’। তবে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন নগরীর কোতায়ালী থানায় পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সীতাকুন্ড থানায় সাধারন ডায়েরি ( জিডি) করা হয়েছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুুলিশ কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার কার্যালয় ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জনগনকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে শুধু টাকা আদায় নয় এই ক্লোন করা মোবাইল নম্বর দিয়ে অন্য কোন অঘটন ঘটনোর দুরভিসন্ধি থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।
রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকেলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে বিভিন্ন নম্বরে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে ক্লোনকৃত নম্বর থেকে ফোন করে জেলা প্রশাসনের কয়েক জন কর্মচারীর কাছে টাকা চাওয়া হলে তাদের খটকা লাগে। পরবর্তীতে ক্লোন করা নম্বরে ফোন করা হলে কেউ আর ফোন ধরেনি। এরপর যাচাই করে ফোন ক্লোন করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সরকারি নম্বরটি ক্লোন করে +3801713104332 নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চাওয়া হচ্ছে মর্মে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তাই উক্ত নম্বর থেকে ফোন করা হলে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য বলে ছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। ইতোমধ্যে কোতোয়ালি থানায় এ নিয়ে একটি জিডি করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরদিকে , চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নম্বর ক্লোন করেও টাকা দাবি করা হয়েছে। একই সাথে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নম্বর ক্লোন করা নিয়ে কেউ কোন দূরভিসন্ধি বা ষড়যন্ত্র করছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন তার মোবাইল নম্বরটি ক্লোন করে সেই নম্বর থেকে সীতাকুন্ড থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে ফোনে নানা কৌশলে টাকা দাবি করা হয়। তখন সেই কর্মকর্তা বিষয়টি তার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানালে এই প্রতারনার বিষয়টি ধরা পড়ে। এর পরপরই সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়।