গৃহবধু রোজিনাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ফটিকছড়ি , চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
ফটিক ছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের সিকদার খীল সেলফি রোড এলাকার গৃহবধু রোজিনা আকতারকে স্বামী, দেবর, শাশুড়ি ও ননদ কতৃক পরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে আত্বহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
৩ মে ২০২৩ বুধবার দুপুরে স্থানীয় সিকদার খীল ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গৃহবধু রোজিনা আকতারের ভাই কবির হোসেন।
বক্তব্যে তিনি রোজিনাকে বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো বলে দাবী করেন। এ নিয়ে কয়েক দফা শালিশ বৈঠক হলেও তারা সংশোধন হয়নি। উল্টো রোজিনার উপর নেমে আসতো নির্যাতন ও মারধর। গত ২৮ রমজানের দিন ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে স্বামী মামুন, দেবর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে রোজিনাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ফাঁসির নাটক সাজায় তারা।
রোজিনার শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন রোজিনা হত্যাকান্ড নিয়ে মামলা করতে ভূজপুর থানায় গেলে ওসি গালমন্দ দিয়ে আমাদের বের করে দেয়। পরে ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করি। এ ঘটনার পূন: তদন্ত করে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন বক্তারা।
শত শত মানুষের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য, সমাজপতি সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন নিহতের পিতা -ভাই ও প্রতিবেশীরা।
এ বিষয়ে ভূজপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকীর মন্তব্য জানতে চাইলে বলেন সে সময় এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলা মুশকিল ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ির নিজের শয়ন কক্ষের খাট থেকে স্বজনরা রোজিনার মৃতদেহ উদ্ধার করলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলেছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। পরে তারা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ নীচে নামানোর সময় এ পরিবারের সদস্য ব্যাতীত অন্য কেউ উপস্থিত ছিলনা। পরে প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।