খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার এর লাশ উদ্ধার
সন্দেহ-এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা
চেঙ্গী দর্পন ,স্টাফ রিপোর্টার :
নাটোর শহরের বালারীপাড়ায় ভাড়া বাসায় খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে যে বাসায় নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেন থাকতো, সেই বাসার নিরাপত্তাকর্মী নিজামুদ্দিনের ভাষ্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে বাসায় ঢোকেন মামুন। আবার রাত আড়াইটার দিকে বের হন। কেন বের হচ্ছেন- জানতে চাইলে মামুন বলেন, ওষুধ কিনতে যাচ্ছি। পরে সকাল ছয়টার দিকে মামুন আবার ফিরে আসেন।
এদিকে, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই প্রতিবেশী ও শিক্ষিকার আত্মীয়-স্বজনদের কেউ কেউ দাবি করছেন, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এটি।
এ প্রসঙ্গে রাতে মামুনের চলাফেরা রহস্যজনক ছিল উল্লেখ করে বাসার নিরাপত্তাকর্মী আরও বলেন, বাসায় ফেরার পর মামুন আমাকে ডাকেন। আমি চারতলায় গিয়ে দেখি, ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে খাইরুন নাহারের মরদেহ।
এদিকে শিক্ষিকার চাচাত ভাই সাবের হোসেন বলেন, সকালে একটা ফোন আসে, আমার বোন নাকি আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনেই গুরুদাসপুর থেকে নাটোরে আসি। এসে দেখি, বোনের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। মরদেহের গলায় বেশ কিছু দাগ। মনে হচ্ছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি আমরা।
নাটোর শহরের বালারীপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, এই দম্পতির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ সমালোচনার কারণেই খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত করছে।