খাগড়াছড়ির রামগড়ে দুইমাসের মধ্যে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ
চেঙ্গী দর্পন, স্টাফ রিপোর্টার,খাগড়াছড়ি : “আগামী দুই মাসের মধ্যে রামগড় -সাব্রুম সীমান্তে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হবে। প্রয়োজনে রামগড় স্থলবন্দরে অস্থায়ী ভাবে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট ও কাস্টমস কার্যালয় নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাতে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল।
এসময় বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব বন্দরের অচলাবস্থার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। বন্দরের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার কারণ চিহ্নিত করে দ্রুত কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন। দু’দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ ভারতীয় হাই কমিশনের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত বন্দরের অবকাঠামো নির্মান কাজ পুনরায় চালু করার জন্য আহ্ববান জানান।
খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাথে স্থলবন্দর চালুর লক্ষে বন্দরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
বুধবার ২২জুন ২০২২ দুপুরে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল রামগড় পৌছালে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রামগড় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানোর পর , বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানের জমি অধিগ্রহণ ও বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন।মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সরোয়ার আলম।
সভায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর চেয়ারম্যান মো: আলমগীর জানান, রামগড় স্থল বন্দর কে কেন্দ্র করে পুরো চট্টগ্রামের দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। বন্দর কে কেন্দ্র করে সড়ক সংস্কার হতে শুরে করে একাধিক বড় প্রকল্পের সেতু নির্মান হচ্ছে। রামগড় স্থল বন্দর চালু হলে স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান অভাবনীয় পরিবর্তন হবে।
এসময় অন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আলীম উল্যাহ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দোকার মো: ইখতেয়ার উদ্দীন আরাফাত, রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল ও রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সীমান্তে ভূমি জটিলতা এবং নকশার অনুমোদন না মেলায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখনও পুরোদমে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ । বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এ বছরের ১০ই জানুয়ারি ১২৫ কোটি টাকা ব্যায় নির্ধারণ করা হয়। ২০২৪সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ বুঝিয়ে দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড কে দায়িত্ব দেয় স্থল বন্দর কতৃপক্ষ।