খাগড়াছড়িতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার , খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ি জেলা রামগড় উপজেলার রশ্বিয়াপাড়ায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী অনন্ত ত্রিপুরা-কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
১৩ মে ২০২৪ , সোমবার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা আদালতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে রায় প্রদান করা হয়। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায় , গত ১৮ এপ্রিল ২০২০ বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানাধীন রশ্বিয়াপাড়া গ্রামের আসামী অনন্ত ত্রিপুরা পারবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী রন্দাবালা ত্রিপুরাকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সেদিন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় আসামী অনন্ত ত্রিপুরা ও তার স্বজনরা মিলে ভিকটিমকে দাহ ও শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। এই ঘটনা জানতে পেরে ঘটনার দুইদিন পর ভিকটিমের পিতা রাজ কুমার ত্রিপুরা বাদী হয়ে রামগড় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় দায়ের করা জিআর ০২(০৪)২০ (রামগড়) নং মামলার তদন্ত শেষ হয় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রায় আড়াই বছরের মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহন সহ বিচারিক কাজ সম্পন্ন করে ১৩ মে ২০২৪, সোমবার প্রকাশ্য আদালতে স্ত্রী হত্যার দায়ে অনন্ত ত্রিপুরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করে রায় প্রচার করেন খাগড়াছড়ির সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ ব্যাপারে জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্য্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলম জানান,খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুড়িয়ে ফেলার ফলে পোস্ট মর্টেম সম্ভব হয়নি। কিন্তু ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বিশ্লেষণ ও সাক্ষ্য প্রমান পর্যালোচনা করে রায় প্রদান করা হয়। মামলা এভিডেন্স বিনষ্ট করে ফেললেও অপরাধী পার পায়না ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় এই রায় এক অনন্য উদাহরণ। দ্রুত সময়ে হত্যা মামলার সুবিচার পাওয়া জনগনের জন্য স্বস্তি দায়ক।