খাগড়াছড়িতে বিদ্যালয়ের গেইট চাপায় শিক্ষার্থীর প্রাণ গেলো
চেঙ্গী দর্পন , স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি : ১০ আগষ্ট ২০২২ বুধবার সকালে নিত্য দিনের মতো মা বাসনা চাকমার হাত ধরে খবং পুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ান বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলো। বিদ্যালয়ের গেইটটিই ক্ষুদে শিক্ষার্থীর জীবনের কাল হলো। এ সময় বিদ্যালয়ের গেইটটি মা -সন্তানের উপর পড়ে। মা বাসনা চাকমা বেঁচে গেলেও না ফেরার দেশে চলে যায় ক্ষুদে শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ান।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় ,২০২০-২০২১ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়েছিলো স্কুলের সীমানা প্রাচীর আর গেইট। নতুন নির্মিত এই গেইটটি পাঁচ মাস ধরে নড়বড়ে। একটা গাছের সাথে বাঁধা ছিল। বিষয়টি অভিভাবকেরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন অনেকবার। আজ সকালে প্রাক-প্রাথমিকের শ্রাবণ দেওয়ান নামে এক শিক্ষার্থীর শরীরে উপর পড়লো লোহার গেইটটি। ঘটনাস্থলে মারা গেলো শিশুটি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ঝরে গেলো একটা প্রাণ । তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন এ বিষয়ে মাথা ঘামায় নাই তা জানা নাই। তাদের গাফেলতিতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তবে এ ঘটনার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান , এলজিইডি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটিকে দায়ী করে বলেন, ২০২১ সালে কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস অনন্ত ত্রিপুরা, অর্থবরাদ্ধ খাগড়াছড়ি এলজিইডি। কাজের মান ও গেইট অসমাপ্ত বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানায়নি।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শানে আলম বলেন, যার গাফেলতিতেই এমন হঢেছে তাকে আইনের আনা হবে।
অপরদিকে নিহত শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ানের দাহক্রিয়া সম্পন্ন করতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু অপু ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।তিনি দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঘটনার পর থেকেই নিহত ক্ষুদে শিক্ষার্থী শ্রাবন দেওয়ানের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মা বাসনা চাকমা ও বাবা প্রণয় দেওয়ান বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন।