খাগড়াছড়িতে এক বছরে ট্রাফিক আইনে তিন হাজার ২’শ মামলা
রাজস্ব আদায় প্রায় ৯০ লাখ
স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি :
“সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলুন, নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন” প্রতিপাদ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় গত ১ বছরে সড়ক পরিবহন আইনে তিন হাজার দুইশত মামলা ও প্রায় নব্বই লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়নে গত ১ (এক) বছরে খাগড়াছড়িতে প্রায় তিন হাজার দুইশত যানবাহনকে বিভিন্ন অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় নব্বই(৯০) লক্ষ টাকা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট শাপলা চত্ত্বর, কোর্ট চত্ত্বর, চেঙ্গী স্কয়ার, জিরো মাইল পয়েন্ট ও বিভিন্ন থানা এলাকায় রেজিঃ বিহীন, হেলমেট বিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন, ফিটনেস বিহীন,হাইড্রোলিক হর্ণ সহ বিভিন্ন অপরাধে ট্রাফিক বিভাগ উক্ত মামলা রুজু করেন।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় দেব জানান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মুক্তা ধর স্যারের নির্দেশে আমরা সড়কের শৃংখলা বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছি, খাগড়াছড়ি জেলা পর্যটন নগরী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১০০ টির ও অধিক বাস সহ অন্যন্য যানবাহন দৈনিক প্রবেশ করে ও বের হয়। এছাড়াও বনজ শিল্প উন্নয়নে বাঁশ, কাঠ পরিবহনে আরও প্রায় শতাধিক গাড়ির যাতায়াত আছে। পুরোনো পৌর বাস টার্মিনাল আয়তনে খুবই ছোট হওয়ায় এতদ সংখ্যক গাড়ীর সংকুলান না হওয়ায় চালকগন সড়কের পাশে রাখতে বাধ্য হন । শুধু মাত্র আইন প্রয়োগ করে এহেন পার্কিং সমস্যা সমাধান হবেনা বলে জানান ।
তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তি ও স্টেকহোল্ডারদের সহায়তা ছাড়া টার্মিনাল বিকেন্দ্রিকরন কিংবা সম্প্রসারন ব্যতিত উক্ত পার্কিং সমস্যা সমাধান হবেনা তিনি অভিব্যক্তি জ্ঞাপন করেন। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে উত্তম হবে, শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা ব্যাবহার এবং ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্বুদ্ধকরন কর্মশালা ও পেশাজিবী চালক ও হেল্পারদের নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মশালা এবং ভ্রাম্যমান চালকদের সড়ক পরিবহনে সতর্কীকরন বিষয়ে লিফলেট ও ফেস্টুন বিতরন করেন।
জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) বলেন, অত্র জেলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় অনেক শিক্ষিত ছেলে বেকারত্ব দূরীকরনে টমটম, ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন যানবাহন চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন। জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত করতে হলে সকল নাগরিক ও স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়াও সুবিধা বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদের ভাগ্য উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। সড়ক পরিবহনে শৃংখলা ফিরাতে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি জনসচেনতাই অধিক কার্যকর ভূমিকা রাখবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।