খাগড়াছড়ি পাজেপ চেয়ারম্যানকে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ সমালোচনার ঝর

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি:
অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল হওয়ায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা কে অত্র পরিষদের সকল কার্যক্রম হতে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার ৭ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
পত্রে বলা হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৪ জন সদস্যকে অবমূল্যায়ন, খারাপ আচরণ, হস্তান্তরিত বিভাগের প্রধান ও কর্মচারীদের সাথে অসদচারণ, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজন প্রীতিসহ শিক্ষক বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদারদের বিলের ফাইল আটকিয়ে ঘুষ বাণিজ্য এবং চরম দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে।
উক্ত অভিযোগগুলো তদন্ত দিন থাকায় অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল কার্যক্রম হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার এহেন আচরণের বিষয় প্রকাশ পাওয়াই সমালোচনার ঝর বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ কেউ বলছে, “এভাবেই চলে যেতে দেয় যায় না”।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রথম নারী চেয়ারম্যান পদে জিরুনা ত্রিপুরাকে নিযুক্ত করা হয়।
খাগড়াছড়ি জনপদের শিক্ষায় আলোর দিশারী, জ্ঞানী, নির্লোভ, নিরহংকারী, সদা হাস্যজ্জ্বল, সকল মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষাবিদ সুধীন কুমার চাকমা এবং বোধিসত্ব দেওয়ান স্যারের মতো মানুষকে বাদ দিয়ে এ নারীকে চেয়ারম্যান পদে বসানো হলেও দায়িত্ব গ্রহনের পর হতে অযোগ্যতার নিদারুণ পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। অংকে পারদর্শী হলেও চেয়ারের মর্যাদা রাখতে পারেন নাই। ওপেন সিক্রেট পিসি গ্রহন সহ আত্নীয়করন, টেন্ডারবাজির নানা অভিযোগ সহ সর্বশেষ পারিষদ বর্গে সমন্বয়হীনতার পর আজ তাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তদন্ত চলমান।
অনেকেই তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে , আনীত অভিযোগ সমূহ নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিগ্রস্থ অযোগ্য এ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমানিত বা সত্যতা পেয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।
কিন্তু এভাবে নিছক একটি প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে তিনি পার পেয়ে গেলে তিনি সহ বিগত চেয়ারম্যানগন ও আগামীতে যিনি বা যারা চেয়ারম্যান পদে আসীন হবেন তারাও বীরদর্পে অল্প সময়ে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাবেন। সুতরাং, জিরুনা ত্রিপুরা বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে দেশে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে দাবি করা হয়।