খাগড়াছড়িতে মাসব্যাপি সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি :
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৫-২৬ এর আওতায় খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে “সাঁতার প্রশিক্ষণ (অ-১৫)” এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা ক্রীড়া বিভাগের আহ্বায়ক মো. মাহাবুব আলম।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য মাদল বড়ুয়া, রাকিব মনি ইফতি, ও প্রশিক্ষক উজ্জ্বল মারমা।
মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কিশোর-কিশোরীদের মধ্য থেকে ৫ জন প্রতিভাবান সাঁতারুকে বাছাই করা হয়। তারা হলেন — হ্লাপ্রুসি মারমা, উচিংমং মারমা, অংখেং মারমা, খাংমং সিং চৌধুরী ও ক্যাশিও মারমা। নির্বাচিত সাঁতারুরা ভবিষ্যতে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি মো. মাহাবুব আলম বলেন,“সাঁতার শুধু একটি খেলা নয়, এটি জীবন বাঁচানোর দক্ষতাও। পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে নদী ও খাল-বিলের সংখ্যা অনেক, সেখানে প্রতিটি শিশু ও কিশোরের সাঁতার জানা অত্যন্ত জরুরি। ক্রীড়া শুধু দেহ নয়, মনকেও সুস্থ রাখে। এই প্রশিক্ষণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী ও সুস্বাস্থ্যের দিকে এগিয়ে নেবে।”
সভাপতির বক্তব্যে জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন,“খাগড়াছড়ির ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রতিভা তৈরিতে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছি। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা যেসব প্রতিভাবান সাঁতারু পেয়েছি, তাদের জাতীয় পর্যায়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
আলোচনা সভা শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র ও বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। প্রশিক্ষণের সমাপ্তি মুহূর্তে সাঁতারুরা তাদের অনুশীলনের কিছু কৌশল প্রদর্শন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও উপস্থিত দর্শকরা বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে এবং মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখবে।
খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া অফিসের এ উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মের মাঝে সুস্থ প্রতিযোগিতা, আত্মবিশ্বাস ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সচেতন ও সক্রিয় সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে — এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।




