খাগড়াছড়িতে গ্রাফিতি অঙ্কনে বাঁধা প্রদান ও মুছে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার , খাগড়াছড়ি :
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে গ্রাফিতি অঙ্কনে বাঁধা প্রদান ও মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
১৬ আগষ্ট ২০২৪ ,শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বর হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে চেঙ্গী স্কোয়ারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্তোলনের ফলে স্বৈরাচার সরকারে পতন হয়েছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ ।। একই দেশে দুই নীতি থাকা যাবেনা। বৈষম্য থাকতে পারবেনা। আমরা বৈষম্যের বিরোধে আন্দোলন করে বিজয় হয়েছে। অতীতে বৃটিশদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য বাঙ্গালী জাতিরা যেমন যেমন আন্দেলন সংগ্রাম করেছে। ঠিক তেমনি পাহাড়িরাও রক্ত দিয়েছেন। আন্দোলন করেছেন এবং হানাদার বাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছে। এছাড়াও জাতিগত দিক থেকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি জোর দাবি জানান তারা।
পার্বত্য খাগড়াছড়িতে রাজনীতি, স্বৈরাচারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ সহ জেলার সকল ক্ষেত্রে নিয়োগ চেয়ারম্যান, সদস্য নিয়োগে প্রশাসন, রাজনীতির অন্য কোন বাহিনী যেন না করে। ছাত্ররাই সৎ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ প্রতিনিধি ঠিক করবে বলে জানান।
এ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, জেকি চাকমা, জেসিকা চাকমা,লাব্রিচাই মারমা,উত্তম ত্রিপুরা,সনজীব চাকমা,জগৎ শান্তি চাকমা,মমেঘদূত চাকমা,সুবিতা চাকমা,সানু মারমা,ফুটন্ত চাকমা,তুষিকা চাকমা সহ অনেকে।
ছাত্র সমাবেশের দাবি সমূহ:
১. ৫% আদিবাসী কৌটা পুনর্বহাল ও পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সকল চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫% রেখে মেধা ভিত্তিক নিয়োগ করতে হবে।
২. আদিবাসীদের সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩. পাহাড়ের বন ও পরিবেশ রক্ষায় ট্রানজিট রুট ১৯৭৩ যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।
৪. অবিলম্বে পাহাড়ের সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে, তার মধ্য ভূমি উচ্ছেদ অন্যতম।
৫. মাতৃভাষা প্রাথমিক শিক্ষা যথাযত প্রয়োগ এবং পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মাতৃভাষা শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. জেলা পরিষদের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি নিরোধ কল্পে ছাত্রদের সাথে সমন্বয় করে যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ করতে হবে।