খাগড়াছড়িতে ওজিএসবির উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার , খাগড়াছড়ি :
“সকলের তরে সকলে আমরা”এই মূলনীতিকে সামনে রেখে অবস্টিট্রিক্যাল গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শাখা’র সহযোগিতায় ইয়েস বাংলাদেশ এর বাস্তবায়নে খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সমাগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার(২৪আগস্ট) দিনব্যাপী জেলায় বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মতাধিক পরিবারের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এদিন ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, পেঁয়াজ , লবণ, সয়াবিন তেল,আলু বিতরণ করা হয়।
বিতরণকালে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট জয়া চাকমা,ইয়েস বাংলাদেশ’র খাগড়াছড়ির ডিভি ও সংবাদ কর্মী খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,ইয়েস বাংলাদেশ’র জেলা’র অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
মানবিকতা শাখাগুলি যেগুলি মানুষকে মানবিক মূল্যবোধের উপলব্ধি এবং নিজেকে প্রকাশ করার জন্য মানবিক কাজের ক্ষেত্রে ওজিএসবি একটি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে।
প্রসঙ্গগত; চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো খাগড়াছড়িতে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়ে গ্রাম থেকে শহর।বিগত সময়ে খাগড়াছড়ি শহরে এর আগে বন্যায় প্লাবিত না হলেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে প্লাবিত শুরু হয়। ডুবেছে গেছে প্রায় ৮০-৯০টি এলাকা। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলায় ডাক্তার পাড়া, চড়পাড়া,মাইসছড়ি,দ্রৌণচার্য্য পাড়া,সুরেন্দ্র মাস্টার পাড়া,পূর্ণ কার্বারী পাড়া,মুসলিম পাড়া, আরামবাগ,শান্তিনগর, বাস টার্মিনাল, মেহেদীবাগ, বটতলী, টিটিসি এলাকা,নারানখাইয়া, স্বনির্ভর, কলেজ পাড়া, দক্ষিণ গঞ্জ পাড়া সহ বেশ কয়েকটি বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায়। মাটিরাঙ্গার তাইন্দং,তবলছড়ি, পানছড়ি উপজেলা, দীঘিনালার মেরং বাজার কবাখালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায়। রেকর্ড পরিমাণ বন্যায় খাগড়াছড়ির সাথে রাঙামটির সাজেক, লংগদু, বাঘাইছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লা/ঢাকা-চ্ট্টগ্রামের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো স্বাভাবিক হতে আরও বেশ সময় লাগবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।