কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন
স্টাফ রিপোর্টার , রাঙ্গামাটি :
গত কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টি এবং ভারত সীমান্তবর্তী উজান থেকে বয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক বছর পানির সংকটে কাটা কাপ্তাই হ্রদ আজ কানায় কানায় পরিপুর্ণ। বর্তমানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রুলকার্ভ অনুযায়ী আর এক ফুট বৃদ্ধি পেলে কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে মোট ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার কন্ট্রোল রুম।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ রয়েছে ১০৭.০১ এমএসএল (মীনসিলেভেল) এ অবস্থান করছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী বছরের এই সময়ে কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ১০১.৩০ এমএসএল (মীনসিলেভেল)। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় ৫ ফুটেরও বেশি পানি রয়েছে কাপ্তাই লেকে।
এদিকে কাপ্তাই লেকে পানি পরিমান বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, ধারণক্ষমতার চেয়ে ৫ ফুটেরও বেশি পরিমাণ পানি রয়েছে কাপ্তাই লেকে। তবে কাপ্তাই লেক থেকে এখন পর্যন্ত পানি ছাড়ার কথা আপাতত ভাবা হচ্ছে না। তবে আর এক ফুট পানি বাড়লে হয়তো পানি ছাড়ার পরিস্থিতি হতে পারে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর হ্রদের পানি না হওয়ায় বিদ্যুৎ উপৎপাদন সম্ভব হয়নি। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আমরা রেশনিং করে ৫ টি ইউনিট চালিয়েছি। বর্তমানে আমাদের ৫টি ইউনিটই চালু রয়েছে। হ্রদের পানি এখনো পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পানি যদি আমরা ছেড়ে দেয় তাহলে এই পানি আমরা আর পাবো না। যতটুকু সম্ভব আমরা পানি ধরে রাখার চিন্তা ভাবনা করছি। তবে যদি আরো ১ ফুট বৃদ্ধি পায় তাহলে ছাড়া হতে পারে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানাযায়, গত ২৪ ঘন্টায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে মোট ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে। তার মধ্যে ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৬, ২ নম্বর ইউনিট থেকে ৪৫, ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ২৮, ৪ নম্বর ইউনিট থেকে ৪২ এবং ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৩৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে। এছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে দেয়া হচ্ছে।