Breakingঅপরাধচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

ওসি মিজান এর ধর্ষন মামলার রায় ১০ মে

চট্টগ্রাম :
কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া বহুল আলোচিত ‘ ওসি মিজান’ এর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ মে এই মামলার রায় ঘোষনা করা হবে।

 

৩০ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দিয়েছেন।

 

আদালতের বিচারক কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিচার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন। আগামী ১০ মে এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে আদালত মিজানুর রহমানের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মিজানুর রহমান ঘটনার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ‘ওসি মিজান’ হিসেবে পরিচিত এই কর্মকর্তাকে অভিযোগ ওঠার পর বরখাস্ত করা হয়েছিল।

 

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মামলার বিচার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। ১০ মে মামলার রায় হবে। জামিনে থাকা আসামি মিজানুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি জামিন পুনর্বহালের আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন বাতিল করে এবং আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’সলেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে যান মিজানুর রহমান। মেয়েটিকে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিজানুর রহমান সহ তিনজনকে আসামি করে দু’টি মামলা দায়ের করেন। বাকি দুই আসামি ওই হোটেলের কর্মচারী।

ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯ (৪)-খ এবং দন্ডবিধির ৪২০, ১৭০ ও ৩৮৬ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। তবে তিন আসামির মধ্যে দু’জনের বিচার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত থাকায় শুধুমাত্র মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচার সম্পন্ন হয়েছে বলে বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিন মাস পলাতক থাকা মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

Related Articles

Back to top button