উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারে ফের উত্তপ্ত রাঙ্গামাটি
চেঙ্গী দর্পন ,স্টাফ রিপোর্টার, রাঙ্গামাটি : জেলার বাঘাইছড়িতে উপজাতি আঞ্চলিক স্ত্র দুই সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ সংগঠিত ও হতাহতের আশংকায় আবারো আতংক উৎকন্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে রাঙ্গামাটির পার্বত্য জনপদ।
রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের উত্তর জারুলছড়ি দুলুবনিয়া এলাকায় উপজাতি আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও জনসংহতি সমিতি ( জেএসএস) এর মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। এই নিয়ে গত দুই দিনের ব্যবধানে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু ও বাঘাইছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠন দুটির মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
সুত্র জানায় ,২৬ আগষ্ট ২০২২ শুক্রবার ভোরে গুলাগুলি শুরু হয়ে আনুমানিক দুই ঘন্টা এই বন্দুক যুদ্ধ চলে। এতে উভয় পক্ষই শত শত রাউন্ড গুলি বিনিময় করে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উভয় পক্ষের ৩ সদস্য নিহতের সংবাদ ছড়িয়ে পরলেও। ঘটনা স্থল দূর্গম হওয়ায় নিরপেক্ষ ভাবে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
তবে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড়ে এক ব্যক্তির মরদেহ পরে থাকার ছবি চোখে পরছে। এতে করে বাঘাইছড়ির উপজেলার বঙ্গলতলী, জারুলছড়ি সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ী গ্রামে সাধারণ জনগনের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ী সব কয়টি এলাকায়। আঞ্চলিক দল গুলো তাদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পাহাড়ের জনপদকে আতংক করে তুলছে।
বাঘাইছড়ি থানার উপ পরিদর্শক এস আই সাইদ আসাদ বলেন , আমরা জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গুলাগুলির সংবাদ পেয়েছি এতে দুই পক্ষ হাজার খানিক গুলি বিনিময় করেছে। তিনজন নিহত হয়েছে শুনেছি। থেমে থেমে এখনো গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমরা ঘটনা স্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি পরে বিস্তারিত জানতে পারবো। নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি টিম বঙ্গলতলী সহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খোঁজ খবর নিলেও কোথাও কোন লাশের খবর পায়নি। তবে স্থানীয়রা বলেন, ভোর ৫ টা থেকে ২ ঘন্টার বেশী সময় ধরে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় বাড়ী ঘরে তালা দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসী। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ী ঘরে কাউকে দেখতে পায়নি।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৩ জনের প্রানী হানীর খবর ছাড়িয়ে পড়লেও রাঙ্গামাটির নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সুত্র বা কোন সংস্থা হতাহতের কোন খবর নিশ্চিত করতে পারেনি। এছাড়া গত ২৩ তারিখ সন্ধ্যায় লংগদু উপজেলায় ৬ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও ১ জন শ্যামল চাকমার মৃত্যু খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই সকল বিভ্রান্তকর তথ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক উৎকন্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল জানান।