আনোয়ারায় বালু উত্তোলনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
অভিযানেও থামছে না বালু উত্তোলন
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, আনোয়ারা : বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের একের পর এক অভিযান চললেও থামছে না চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের তিশরী, পূর্ব হেটিখাইন, বরকল সেতু এলাকা, বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ সেতু এলাকা, বরুমছড়া ইউনিয়নের কানু মাঝির হাট, ভরা শঙ্খ খাল, ভরাচর, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের খুরুস্কুল, গোদার ঘোড়া, রায়পুর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে প্রভাবশালীদের বালু উত্তোলনের মহাৎসব। এসবস্থানে উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, থানা পুলিশ অভিযান চালালেও থেমে নেই বালু উত্তোলন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বরকল সেতুর পশ্চিম পাশে কোটি টাকার বেঁড়িবাধের উপর অবাধে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ ঘেঁষে নদী থেকে বালু তোলে অন্যত্র বিক্রি করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রে আরো জানা যায়, হাইলধর ইউনিয়নে নয়ন, জয়নাল, মাহফুজ, মুফিজ, লিটন, আনোয়ার, খোরশেদ, জাহাঙ্গীর, খোকন, জাহেদুল, পারভেজ, হাসান, সোহেল, আলমগীর, মান্নানসহ একাধিক সিন্ডিকেটের সদস্যরা বালু বিক্রি করছে বলেও জানা যায়। তবে প্রভাবশালী এসব ব্যক্তিদের ভয়ে এলাকাবাসীর কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের গোদার ঘোড়া এলাকায় খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে শঙ্খ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বালু ব্যবসায়ী আব্বাস ও গফুরের সিন্ডিকেট।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শঙ্খ নদীতে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো. তানভীর হাসান চৌধুরী অভিযান চালিয়ে আবছার হায়দার নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার জরিমানা করেন। তিনি বলেন, যারা এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। উপজেলায় কোনো বালু মহল নেই। উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে সাঙ্গু কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।