Breakingপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

আনন্দঘন পরিবেশে থানচিতে আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব সংবাদদাতা,থানচি, বান্দরবান:
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা–২০২৫ আনন্দঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় স্থানীয় এনজিও সংস্থা হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরিনয় চাকমা।

 

“শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক অন্ধকার জনপদ” প্রতিপাদ্যে হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশনের রোয়া ক্যাং প্রকল্প-এর আওতায় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি ভাষা, ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কণ, একক ও দ্বৈত নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে।

 

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা CO-OPERAID-এর অর্থায়নে হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশনের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মংমংসিং মারমা সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে সুপারভাইজার হালিরাম ত্রিপুরা সঞ্চালনা করেন।

 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরিনয় চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সহকারী কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রুমা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশীষ চিরান, থানচি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সোনা মৈত্র চাকমা, প্রেস ক্লাব সভাপতি অনুপম মারমা এবং রোয়া ক্যাং প্রকল্পের ম্যানেজার বিদ্যা পূর্ণ চাকমাসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

আয়োজকরা জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশনের আওতাধীন রুমা, বান্দরবান সদর ও থানচি উপজেলার মোট ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিনয় চাকমা বলেন, “পাহাড়ি অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া একটি চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব। তবে আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা বিভাগ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, এ ধরনের শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কারও সনদ বিতরণ করা হয়।

Related Articles

Back to top button