Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলসারাদেশ

সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টাকালে ১৪ জন আটক, অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম  :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিনদিনের অবরোধের প্রথম দিন অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে নাশকতা ঠেকাতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর টহল অব্যাহত ছিল। অবরোধ চলাকালে কোথাও কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার সকালে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের আকবরশাহ থানা সংলগ্ন পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় অবরোধকারীরা অবস্থান নিয়ে ৮ থেকে ১০ টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এই সময় পুলিশের ধাওয়ায় অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে ভাঙচুরে জড়িত ১৪ অবরোধকারীকে আটক করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আটক অবরোধকারীদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি কালো ব্যাগ ভর্তি অবিস্ফোরিত সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

 

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালিউদ্দিন আকবর। তিনি জানান, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাক্কা রাস্তার মাথায় এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেন। এই সময় তারা মহাসড়কে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এসময় পুলিশ পিছু ধাওয়া করে ভাঙচুরে জড়িত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহাসড়কের একই স্থান থেকে একটি কালো ব্যাগের ভেতরে লুকিয়ে রাখা অবিস্ফোরিত সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

 

অন্যদিকে সীতাকুণ্ড থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান,অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশের টহল অব্যাহত ছিল।

 

বিজিবি চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে অবরোধকারীদের নাশকতা ঠেকাতে সোমবার রাত ৯ টার পর থেকে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা নাশকতা ঠেকানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অবরোধের প্রথমদিনে মহাসড়কে তাদের টহল অব্যাহত রেখেছে।

 

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, অবরোধকারীদের নাশকতা ঠেকানোর পাশাপাশি জানমাল রক্ষায় সোমবার রাত থেকে মহাসড়কে বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে টহল কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের সাথে রাতভর তিনি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অবরোধকালে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় মঙ্গলবার দিনব্যাপী তাঁর নেতৃত্বে একদল বিজিবি পৌরসদর থেকে নগরীর সিটি গেট পর্যন্ত টহল কার্যক্রম চালিয়েছেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে অপর দলটি পৌরসদর বাজার থেকে বড় দারোগারহাট ওজন স্কেল এলাকা পর্যন্ত টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। অবরোধকালে মহাসড়কে সহিংসতার কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

Related Articles

Back to top button