সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে সরকার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি
স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম :
সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতে যেভাবে সহিংসতা ও নাশকতা নির্মূল করা হয়েছে, তেমনি ভাবে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান দৃঢ়।
আমাদের দেশে কোথাও মাদক তৈরি হয় না। আমাদের দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করার জন্য বিদেশ থেকে মাদক আসছে। বিদেশ থেকে ট্রানজিট হিসেবে আমাদের দেশ দিয়ে বাইরে যায়। আমরা সেখানেও জিরো টলারেন্সের কথা বলছি। আমরা মাদকের জন্য আইন পরিবর্তন করেছি। সর্বোচ্চ শাস্তি মাদকের জন্য দিয়েছি। মাদকের জন্য আমাদের বর্ডার টাইট করেছি। বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আমরা কোনক্রমেই মাদককে আমাদের দেশে ঢুকতে দেব না। নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে এটা আমাদের ওয়াদা। মাদক যে কি পরিমান ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বা যাচ্ছে, সেটা আপনারা শুনলে দিশাহারা হবেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সবাই আমাদের প্রশাসনকে মাদক নির্মূলে সহযোগিতা করবেন। যাতে দেশ ও যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মাদক, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজনে ১৫ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাদার্শা বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠেমাদক, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উল্লেখিত কথাগুলো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপির সভাপতিত্বে সাতকানিয়া পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ জোবায়েরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জহির উদ্দিন,মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, এম এ মোতালেব,গোলাম ফারুক ডলার, কুতুব উদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও ফয়েজ আহমদ লিটন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ও তার জোট ৯২ দিন জ্বালাও-পোড়াও করেছেন। এ সময় তাদের দেওয়া আগুনে বাসের ভেতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাবা-ছেলে মারা গেছেন। মা -বোনেরা পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করলেন আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য বার্ন হাসপাতাল। অগ্নি সন্ত্রাসের পর জঙ্গিবাদের উত্থান হল। মন্দিরের পুরোহিতকে, বান্দারবনে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করা হল। আমাদের হলিআর্টিজান বেকারিতে গুলি করে বিদেশি সহ আমাদের দেশের নাগরিককে হত্যা করা হল। এই সবগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একে একে কন্ট্রোল করতে পেরেছি।
২০৩০ সালের মধ্যে আমরা উন্নত জাতি, ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হব। তার জন্য যা যা করার তা প্রধানমন্ত্রী করে যাচ্ছেন। আর বিএনপি দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সব স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সব কিছু স্থবির হয়ে গিয়েছিল। পরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো আবার চালু হল। স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ৩৫ ধরনের ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
সমাবেশের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোহাগাড়ার চুনতির নবনির্মিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন উদ্বোধন করেন।