সচেতনতা ও লোকলজ্জার ভয়ে আইনী সহায়তায় নারী ও কিশোরীরা সচেতন নয়
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি :
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও আইনী সহায়তায় সরকারি সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে এখনো নারী ও কিশোরীরা সচেতন নয়। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর নির্যাতিতারা যথাসময়ে আইনী সহায়তা না নিয়ে লোকলজ্জার ভয়ে সময় ক্ষেপন করে। নারী বা কিশোরীরা নির্যাতনের আলামত মুছে ফেলায় আইনি সহায়তায় বঞ্চিত হচ্ছে। ঘটনার পর পর আলামত বা চিহ্ন অক্ষত রেখে পুলিশের সহায়তা নিলে এবং সরকারী হট লাইন ১০৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা নিলে নারী নির্যাতন কমে আসবে এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে। ফলে সমাজে নিরবে ঘটে যাওয়া অপরাধ কমে আসবে। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
৯ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সমাজে এখনও পুরুষেরা নারীদের আড়চোখে দেখে! এই প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে নারী,পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। এরা আমার মা, এরা আমার বোন, এরা আমার কন্যা।
উপ পরিচালক মো. জসিম উদ্দীন বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের অবস্থান খুবই কঠোর। যে কোন নারী, কিশোরী অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা বা পরিস্থিতির শিকার হলে তাৎক্ষণিক ১০৯ হট লাইনে সাহায্য চাইতে পারেন। এতে প্রশাসন দ্রুত নির্যাতিত নারী বা কিশোরীর পাশে দাঁড়াবে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার রক্তিম চৌধুরী বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের জানার অভাবে সেই সুবিধার সুফল ভোগ করতে পারছিনা । কোন কিশোরী বা নারীর ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ১০৯ হট লাইনে সহায়তা নেওয়ার পাশাপাশি ঘটনা না লুকিয়ে এবং আলামত নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে বিষয়টি পুলিশক অবহিত করতে হবে। সচেতনতা না বাড়ালে এবং লোকলজ্জার ভয়ে এড়িয়ে গেলে অপরাধীরা বেঁচে যাবে। নিযার্তিতরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দীন ,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা রাকেশ বিশ্বাস, মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার সরকার, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রনি কুমার দে, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম, পুলিশ উপ পরিদর্শক(এস.আই)মো. ইয়াছিন, কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. ওসমান গনি চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আবদুল মতিন প্রমূখ।