Breakingসারাদেশ

শ্রীনগরে স্বামীর স্বীকৃতি দাবীতে অনশন

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, শ্রীনগর,মুন্সীগঞ্জ :
শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামের সোবাহান ঢালীর ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম প্রান্ত ওরফে রিয়াদ (২৭) পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের বাসুদিয়া গ্রামের হায়দার শেখের কন্যা ছোঁয়া’র (১৮) সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কের দুই বছরের মাথায় একপর্যায়ে দুজনই বিয়ে বন্ধনে অবদ্ধ হওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠে। রিয়াদ বিষয়টি তার মা ও বোনকে জানান। রিয়াদের মা ও বোন মিলে টেলি কনফারেন্সর মাধ্যমে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এর জন্য প্রথমে তারা কোর্টে হলফ নামা ও পরে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করান। মা ও বোন বিয়ের স্বাক্ষী হন। গত ২২ আগষ্ট রিয়াদ দেশে আসে। পরদিন ছোঁয়ার বাবা-মা রিয়াদের বোনের বাসায় আসলে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করে এবং রিয়াদ রাতে ছোঁয়াদের বাসায় রাত্রি যাপন করে। ছোঁয়ার মা দাবী করেন,ওই রাতে তারা স্বামী- স্ত্রী হিসাবে একই ঘরে ছিলেন। কিন্তু রিয়াদ পরদিন সকালে বাড়িতে এসেই ছোঁয়াকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। এতে হতাশ হয়ে ছোঁয়া ২৫ আগস্ট ঘুমের ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

 

গত রবিবার সকালে স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে ছোঁয়া বিবন্দী গ্রামের রিয়াদের বাড়িতে উঠলে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ছোঁয়ার উপস্থিতি টের পেয়ে রিয়াদ পালিয়ে যায়। রিয়াদের বাবা-মাও তাকে পুত্রবধূ হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আশ্বাসে সে তার বাবার বাড়িতে ফিরে যায়। কিন্তু গত ৫ দিনে বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় সে স্বামীর স্বীকৃতির দাবীতে ফের বুধবার দুপুরে রিয়াদের বাড়ীতে অবস্থান শুরু করে। এসময় রিয়াদের বাড়ির লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী তরুণীর মাতা চম্পা বেগম বলেন, প্রায় দুই বছর আগে রিয়াদের সাথে তার মেয়ে আতিকা ইসলাম ছোঁয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রিয়াদ জাপান যাওয়ার পর তার মা ও বোনের উপস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জ কোর্টে বিয়ের হলফনামা ও কাবীন সম্পন্ন হয়। এসময় তিনি প্রমান হিসাবে বিয়ের কাবিনের অবিকল নকল কপি উপস্থাপন করেন। তিনি আরো জানান, আমরা শ্রীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

রিয়াদের পিতা সোবাহান ঢালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তরুণীর পরিবারে সাথে কথা বলছি। তারা যদি বিয়ের কোন প্রমান দেখাতে পারে তাহলে তাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু বলেন, তরুণীর পরিবারের ডাকে আমি ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম।বিষয়টি সমাধানের জন্য রিয়াদের পরিবার দুই দিনের সময় চেয়েছিল।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর বলেন,মেয়েটির পরিবার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Back to top button