Breakingচট্টগ্রাম অঞ্চলশিক্ষা / চিকিৎসাসারাদেশ

লোহাগাড়ায় প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, লোহাগাড়া , চট্টগ্রাম :
জেলার লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের রশিদের ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানটির ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

 

৩১ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন করে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে স্বপদে বহাল না করা পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরবে না বলে জানায়।

 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত মে মাসে বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহর সাথে প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানের অফিস সংক্রান্ত বিষয়ে তর্কাতর্কি হয়। পরে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

 

পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে আপোষ-মীমাংসা হয়। এরই মধ্যে স্কুল ড্রেস পরে না আসায় দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সারজিনা আফরিন সহ বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক প্রহার করেন। সারজিনা আফরিনের পিতা গুরা মিয়া সভাপতিকে অভিযোগ করেন। পরবর্তী সময়ে গুরা মিয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।

বিগত ২৯ আগস্ট সভাপতি স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়েই শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া বহিষ্কার করার প্রতিবাদে তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজুলুর রহমান বলেন, বিদ্যলয়ের সভাপতি নাসরীন মাশকুরা রোকন নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমাকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ করেছেন। তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় বহিষ্কারের চিঠিটি তাঁর স্বামীকে দিয়ে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছে। আমি তাদেরকে ক্লাসে যাওয়ার কথা বলেছি কিন্তু তারা সেটা আমলে না নিয়ে আন্দোলন করছে।

 

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহ জাহান, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম, আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম।

 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলছি। আর তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া সভাপতি যেই বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন সেটা আইন সিদ্ধ হয় নাই। কমিটির কারো সাথে বৈঠকে না বসে সভাপতি একক ভাবে কোন শিক্ষককে বহিষ্কারাদেশ দিতে পারেন না। এটার আইনগত কোন ভিত্তি নেই৷

Related Articles

Back to top button