Breakingখাগড়াছড়িচট্টগ্রাম অঞ্চলপর্যটনপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

রামগড়ের প্রাচীন এসডিও বাংলো সংস্কারের উদ্যোগ

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,রামগড় ,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের অর্থায়নে রামগড় সাবেক মহকুমা শহরের সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর তীতে স্থাপিত একশ দুই বছরের প্রাচীন এসডিও বাংলোটির প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ ও সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্যেগ নিয়েছে রামগড় উপজেলা প্রশাসন।

ইতিমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী , উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দীন ,মো: আরাফাত , রামগড় পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোনেন, সাধারণ সম্পাদক ও পাতাছড়া ইউপি চেযারম্যান কাজী নুরুল আলম আলমগীর, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান প্রমুখ সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা বলেন, ঐতিহাসিক নির্দশন এসডিও বাংলোটি মহান মুক্তিযুদ্ধের বহু স্মৃতি ধারন করে আছে। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম পতনের পর কালুর ঘাটের স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্রটি রামগড়ের এ এসডিও বাংলোতে এনে স্থাপন করা হয়। রামগড় পতনের পূর্ব পর্যন্ত এখান থেকে স্বাধীন বাংলার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

রামগড় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দীন মো: আরাফাত বলেন, বাঙ্গামাটি পতনের পর পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জেলা সদর রাঙ্গামাটি থেকে রামগড়ে স্থানান্তরিত করে এখান থেকে স্বাধিনবাংলা সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক এইচটি ইমাম রামগড়ের এসডিও বাংলোতে অবস্থান করে স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রশাসিনক কার্যক্রম চালাতেন। তিনি বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের নির্দশন এসডিও বাংলোটি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সংরক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারেরর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকেরা বেড়াতে এসে তৎকালীন ইতিহাস জানার জন্য বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

অপরদিকে এসডিও বাংলোর প্রবেশ দ্বারে বিলবোর্ড স্থাপনে বিজিবির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। এনিয়ে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বিজিবি সদস্যদের বাক বিতন্ডা হয়।

রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল আনোয়ারুল মাজহার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের ভেতরে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে বিজিবির অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এসডিও বাংলো সংস্কারে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। যার জন্য বিজিবি সদস্যরা প্রথমে বাঁধা দেয়। যেহেতু প্রাথমিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা ক্যাম্পে ফিরে আসে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ১৯২০ সালে রামগড়কে মহকুমায় রুপান্তরের পর সীমান্তবর্তী ফেনী নদীরকুল ঘেঁষে তৎকালীন বৃটিশ সরকার মহকুমা প্রশাসকের জন্য বাংলোটি নির্মাণ করে। আশির দশকে মহকুমা বিলুপ্ত হওয়ার পর বাংলোটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে বাংলোটি দুটি সরকারি বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের অর্থায়নে বাংলোটির প্রয়োজনীয় সংস্কার সহ সৌন্দর্য বর্ধনমূলক র্বিভিন্ন কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়।

Related Articles

Back to top button