স্টাফ রিপোর্টার , ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। ভোটার অংশ নিলেই নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হবে। আমার যা দায়িত্ব কর্তব্য তার বাইরে আমি কিছু করতে পারবো না। তবুও আমরা আশায় বুক বেধে আছি হয়তো সবাই নির্বাচনে আসবে।
২৫ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ করার বিষয়ে আলোচনা করতে ২০২২ সালে আমাদের নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এর মধ্যে অধিকাংশ দল সারা দিয়েছেন। পরে যে দল অংশ গ্রহণ করেনি তার মহাসচিবকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজ সাক্ষরে চিঠি দিয়ে আবার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আপনারা আসুন, আলোচনা করি, এক কাপ চা খাই। কিন্তু আমরা তো রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে পারবো না এবং আমাদের ম্যান্ডেটরি না।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবো। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বুঝায় তা করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের দায়িত্ব তাদের, আর রাজনৈতিক দল গুলোরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধিতে লেখা আছে নির্বাচনে অংশ না নিলে কি হবে তা উনারা ভাল করে জানেন। উনারা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন, এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা চাই ভোটার আসুক, ভোটাররা উপস্থিত হলে তাহলে অংশগ্রহণ মূলক বলা যায়। আমার কাজ হচ্ছে ভোটার নিয়ে। ভোটার যদি বেশি হয় তাহলে আমি অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক বলবো। আমার যা দায়িত্ব কর্তব্য তার বাইরে আমি কিছু করতে পারবো না। তবুও আমরা আশায় বুক বেধে আছি হয়তো সবাই নির্বাচনে আসবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা-আইসিটি) জিয়াউল হক মীর ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম।