ভূমিদস্যু জহর লালের বিরুদ্ধে রামগড়ে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, রামগড় ,খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভূমি দস্যু ও রেশন কার্ড খেকো জহর লাল ঘোষ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্তের অভিযোগ তুলে সম্মানহানীর দায়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ,শনিবার সকালে রামগড় লেকপাড়স্থ গোধুলী রেস্তোরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথ বলেন, সম্প্রতি জহর লাল ঘোষ একটি সংবাদ সম্মেলনে ঘুষ বানিজ্য আমার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়েছেন।
অভিযোগটি মিথ্যা ও শান্তি দাবী করে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথ বলেন, তার নিজ মাতৃগর্ভা বোন গীতা রানী ঘোষকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে পৌরসভার জগন্নাত পাড়াস্থ দশমিক ২০ শতক ওয়ারিশান ভূমি নিজ নামে বন্দোবস্ত করে জহর লাল ঘোষ তার স্ত্রীকে দান করতে অপচেষ্টা করে একি সাথে পারিবারিক রেশন কার্ড থেকে তার বোনকে বাদ দিয়ে দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের ওয়ারিশ করেন। এ সব জাল জালিয়াতির বিচার ও সম্পত্তির দাবী চেয়ে তার বোন ভূমি অফিস ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট বিচার দাবী করলে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা হিসাবে সুষ্ঠ বিচারে সহযোগীতা করি। এতে ভূমিদস্যু জহর লাল ঘোষ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমি অফিসের মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্যর নামে ভুয়া অভিযোগ তুলে আমাকে ও তদসংশ্লিষ্ট অফিসকে দাবী করে মিথ্যা অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, তার সংবাদ সম্মোলন সহ ভুয়া দলিল দস্তাবেজ তৈরীর সময় তিনি চিকিৎসার কাজে ভারতে ছিলেন। সাম্প্রদায়ীক নেতা হিসিবে মাতৃগর্ভা বোনকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে ভূয়া বন্দোবস্তর বিরুদ্ধে তাদের কয়েকটি বিচারিক বৈঠকে কথা বলা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এসব অভিযোগ। অথচ তার বোন নিজেই বাদী হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি অফিস ও আমাদের নিকট অভিযোগ করেছিলেন।
এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কাজে রামগড় ভূমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম সুকৌশলে কবুলিয়ত/দলিল না থাকা সত্ত্বেও তিনি নামজারী মামলার সুপারিশ করায় তার বিরুদ্ধেও শাস্তি দাবী করেন এবং সুবিচারের আশায় তার বোন খাগড়াছড়ি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২/২০২৩ নং বিবিধ মামলা রুজু করেন যা আদালতে চলমান আছে বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বিষয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ভূমি বন্দোবস্ত ও স্ত্রীর নামে নামজারিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন জহর লাল ও তার স্ত্রী উমা রাণী ঘোষ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথকে ঘুষ কারবারে সহযোগীতার অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্য দেন জহর লাল ঘোষ। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইবার শুনানী হয়। শুনানীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা তার বোনকে অনৈতিক ভাবে সহযোগীতার অভিযোগ তুলেন জহর লাল।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।বিষয়টি সম্পূর্ণ মানবিক। জহর লাল তার বোন কে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তার বোন অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখি। তদন্তে তার বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারিশানের উত্তরাধীকারী দাবীকারি গীতা রানী গোষ, ভূমি বিক্রেতার পুত্রবধু রুবী রানী দেবীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।