”ভাত চাই না— বেড়ি বাঁধ চাই ” মানব বন্ধনে পদ্মা পাড়বাসী
![](https://chengidarpon.com/wp-content/uploads/2021/12/পদ্মা-২-780x470.jpg)
চেঙ্গী দর্পন , স্টাফ রিপোর্টার, শরীয়তপুর :‘ভাত চাই না বেড়ি বাঁধ চাই, ত্রান চাই না টেকসই বাঁধ চাই, আশ্বাস নয় বাস্তবায়ন চাই, ভিটে মাটি নিয়ে বাঁচতে চাই’ এই আক্ষেপে ভারী হয়েছে পদ্মা নদীর পাড়ের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি এলাকা।
শুক্রবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ দুপুরে শরীয়ত পুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দির পদ্মা নদীর পাড়ে স্থায়ী ও টেকসই বেড়ি বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানব বন্ধন ও সমাবেশ করেছে জাজিরা উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী।
![](http://chengidarpon.com/wp-content/uploads/2021/12/পদ্মা-২-1.jpg)
এ সময় আমিনুল ইসলাম সেন্টু ছৈয়ালের সার্বিক সহযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন লুৎফর রহমান খলিফা, চাঁন মিয়া সিকদার, মেম্বার করিম মাদবর, আবুল কালাম ছৈয়াল, জলিল ছৈয়াল, আনোয়ার ছৈয়াল, ইকবাল মাঝি, নুরুল হক ছৈয়াল, সেলিম ব্যাপারী প্রমূখ মানব বন্ধনে উপজেলার সহস্রাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
রমজান ছৈয়ালের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়া সিকদার বলেন, গেল তিন বছরে আমার কয়েক বারে ১০০ বিঘা বসত বাড়ী, জমি নদী গর্ভ চলে গেছে। আমি এখন সব হারিয়ে পথে বসেছি। তাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ভাইর কাছে দাবী আগামী বর্ষার আগে টেকসই বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভাত চাই না, ত্রাণ চাই না বেড়ি বাঁধ চাই। আমাদের খাবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে না, বাপ-দাদার সম্পত্তি রক্ষা করতে পারি সেজন্য টেকসই বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের নেওয়া প্রকল্প গুলোর কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।
তারা বলেন, প্রতিনিয়ত জাজিরা উপজেলার পদ্মার পাড়ের বসত বাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙছে। আর এতে মানুষ সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়ছে। বর্ষার সময় নদী ভাঙন শুরু হয়। বর্ষার সময় বেড়িবাঁধ সম্ভব নয়। তাই আগামী বর্ষার আগে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
![](http://chengidarpon.com/wp-content/uploads/2021/12/পদ্মা.jpg)
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিন বছরে জাজিরা পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে নড়িয়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটারে সহস্রাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পদ্মা নদীর গর্ভে চলে গেছে। মাথা গোজার ঠাই না থাকায় অনেকেই অন্যের যায়গায় থাকছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আহসান হাবীব বলেন, পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে নড়িয়া বেড়ি বাঁধ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী বেড়ি বাঁধ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।