Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

ব্রীজ ডেবে যাওয়ায় ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, পানছড়ি,খাগড়াছড়ি : জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের দুধকছড়ার ছড়ার উপর সেতুটির এক অংশ গত দু‘বছর আগে ডেবে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরজমিনে দুধুকছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও পানছড়ি সরকারী কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী নিশানা চাকমা,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মহা রঞ্জন, কৃষক অরুন জয় চাকমা সহ অনেকেই জানান, এলাকার লোকজন ধ্বসে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।দুধুকছড়ার উপর দিয়ে ঘিলাতলী, শনখলা, হারুবিল, রুপসান পাড়া,মধুরঞ্জন পাড়া, সিমানা পাড়া, কালা রাম পাড়া সহ দশ গ্রামের মানুষ যাতায়াত ও কৃষিপন্য পরিবহন করে। একমাত্র সড়কের সেতুটি মাটির নিচের দিকে ডেবে যাওয়ায় ঝুকি নিয়ে লক্ষাধিক মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন সেতুটির পুর্ব পাশে মাটির ভিতরে ডেবে যাওয়ায় এমন বেহাল দশা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

লোগাং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নয়ন রঞ্জন চাকমা আক্ষেপ করে বলেন, ব্রীজটি নিয়ে পত্র পত্রিকায় অনেক বার লেখালেখি হলেও কোন লাভ হয় নাই। দুধুকছড়ার এ পথেই ৯-১০ গ্রামের মানুষ ছাড়াও বিজিবি সীমান্ত ক্যাম্প সমুহে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন করে। এলজিইডি কর্তৃক ১৯৯৫ সালে নির্মিত ছড়ার উপর ব্রীজটি গত দু‘বছর আগে পাহাড়ি ঢলে এক অংশ মাটিতে ডেবে গেলে লিখিত ভাবে উপজেলা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে কোন অদৃশ্য কারণে কাজটি হয় না তা জানা নাই।

লোগাং বিজিবি বিওপি-র এক কর্মকর্তা জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ দুধুক ছড়ার ব্রীজটির এক অংশ ডেবে যাওয়ায় সীমান্ত ক্যাম্প সমুহে মালামাল পরিবহন ও যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয়দের জরুরী প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কাঁধে ও মাথায় বহন করে নিতে হয়। অফিসিয়াল ভাবে বিষয়টি নির্বাহি প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।

এলজিইডি-র পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী অরুন কুমার দাশ বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সুপারিশ সহকারে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন আসলে ব্রীজের কাজটি করা হবে।

Related Articles

Back to top button