Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে র‌্যালি ও পথ সভা অনুষ্ঠিত

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,পানছড়ি, খাগড়াছড়ি  :
জেলার পানছড়িতে “ যত্রতত্র প্লাস্টিক – পলিথিন ফেলে বিপর্যয় ডেকে আনবেন না। নির্মল সবুজ পৃথিবী গড়ার লক্ষে এগিয়ে আসুন ” শ্লোগানে বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে র‌্যালি ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বড় চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে এ দিবসটি বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয় গোটা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটা। প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করা জরুরি একই সাথে আমাদের প্রত্যেকের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য।

 

২৮ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার সকালে “ পরিবেশ রক্ষার্থে সচেতন এলাকাবাসী ”র ব্যানারে পানছড়ি জিরো পয়েন্ট হতে এক র‌্যালি বের হয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ারে এসে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

পানছড়ি উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি চন্দ্র দেব চাকমা-র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, শুধু দিবস পালনের মাধ্যমে যেন দায়িত্ববোধ শেষ না হযে যায়। দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ভাবে ব্যাপক গবেষণা ও অনুসন্ধান চালাতে হবে। আর প্রকৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব শুধু সরকার বা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের নয়। এ দায়িত্ব প্রতিটি ব্যক্তির বা প্রতিটা নাগরিকের।

পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহার ,অধিকহারে বৃক্ষ নিধন হওয়া, শিল্পায়নের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা না থাকা , প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ সংরক্ষণ না করা, পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতন না হওয়ার কারণে প্রকৃতি সংরক্ষণ পিছিয়ে পড়ছে। এ সকল বিষয়ে প্রকৃতি সংরক্ষণে আমাদের ভুমিকা রাখতে হবে।

 

বর্তমানে পরিবেশে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রভাব। সময় মতো বৃষ্টি নেই , রোদ নেই, পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। প্রকৃতির উপর দিয়ে বয়ে চলছে ঘূর্ণিঝড় বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে এলোমেলো হয়ে গেছে সারাদেশ।যার শক্তি হ্রাস পেতে থাকে বনভূমির কারনে। কিন্তু বনভূমির পরিমাণ কমার কারণে ক্রমেই প্রবল আকার ধারণ করছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলো।

 

স্মরণ রাখতে হবে যে, প্রতিজন যদি একই দিনে একটি করে গাছ ফুল বা সৌন্দর্য বর্ধন কারী ছোট খাটো গাছ ছাড়াও মেহগনি, অশ্বত্থ, বট, নিম জাতীয় বহুবর্ষজীবী পরিবেশের ভারি উপকারী গাছ লাগানো হয় আর সেটা পৈতৃক জমি বা সরকারি জমিতে তািই হোক । আর এটাই একটা মাইলফলক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে আমাদের প্রকৃতির পরিবেশের উপর। ফলে সমৃদ্ধ হবে দেশ, সংরক্ষণ হবে আমাদের প্রকৃতি, সুস্থ্য থাকবো আমরা সকলে।

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, উপজেলা প্রকৃতি সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা , ইউপি চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমা, জয় কুমার চাকমা, ভুমি ধর রোয়াজা , ইউপি সদস্য – সদস্যাগন , গ্রাম্য কার্বারী গন,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ সহ স্থানীয় সাংবাদিক গন উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

Related Articles

Back to top button