Breakingঅপরাধখাগড়াছড়িচট্টগ্রাম অঞ্চলপার্বত্য অঞ্চলশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

বিচ্ছিন্ন পিকেটিংয়ের মাঝে খাগড়াছড়ির ৫ উপজেলায় ইউপিডিএফের আধাবেলা সড়ক অবরোধ শেষ

চেঙ্গী দর্পন ,স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত-গ্রুপ) কালেক্টর হত্যার প্রতিবাদে পাঁচ উপজেলায় ডাকা আধা বেলা সড়ক অবরোধ শেষ হয়েছে।

জেলার গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ।

অভ্যন্তরীন সড়কে কম বেশী যানবাহন চললেও চলাচল করেনি দুরপাল্লার কোন যানবাহন। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ফেনী-ঢাকা রুটের সকল পন্য ও যাত্রীবাহি পরিবহন সহ দুরপাল্লার গাড়ী সমুহ ছয় ঘন্টা বন্ধ ছিলো ।

সকালে মানিকছড়ি উপজেলাধীন ধর্মঘর এলাকায় মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী সরকারি কলেজের সামনে খাগড়াছড়ি – চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে ইউপিডিএফ। প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোকতাদের হোসেন এর নেতৃত্বে রাস্তা থেকে গাছ সরিয়ে যানবাহন চলাচল সচল করা হয়।

এর আগে ভোরে মাটিরাঙ্গা ও রামগড়ে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করেছে ইউপিডিএফ কর্মীরা। বাইল্যাছড়িতে সড়কের উপর ইট ফেলে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পালিয়ে যায় পিকেটাররা। রামগড়ের যৌথ খামার এলাকায় অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই সড়কে ইট ও গাছের গুড়ি ফেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেয় সমর্থকরা।

অবরোধে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে পুলিশি তৎপরতা জোরালো ছিলো। পুলিশের পাশাপাশি টহলে ছিলো আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ পাহারায় গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে পর্যটক সহ জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহন গুলোকে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান , বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও টহলে ছিলো পুলিশের সদস্যরা। সতর্ক অবস্থানে থাকায় কোন ধরনের সহিংসতা ঘটাতে পারেনি অবরোধ কারীরা।

এদিকে, অবরোধ বিরোধী ও পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ-জেএসএসসহ শাখা সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধে বিক্ষোভ হয়েছে মানিকছড়িতে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ব্যানারে মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী কলেজ শাখার উদ্যোগে মিছিল বের করে উপজেলার আমতল এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

উল্যেখ্য, গত শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার সময় গুইমারার দেওয়ান পাড়া এলাকার মিশন টিলা থেকে উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত-গ্রুপ) কালেক্টর অংথোয়াই মারমা ওরফে আগুনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের দায়ী করে নিহত আগুনকে নিজেদের নেতা দাবি করেন প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ইউপিডিএফের সমর্থকরা শুক্রবার দুপুরে রামগড় ও গুইমারা সড়কে ট্রাকে আগুন দেয় এবং শনিবার সকালে সড়ক অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটির নীতি নির্ধারকরা।

Related Articles

Back to top button