Breakingপার্বত্য অঞ্চলবান্দরবানসারাদেশ

বান্দরবানে বম জনগোষ্ঠীর ৮জন হত্যার প্রতিবাদে পানছড়িতে তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার ,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান  :
বান্দরবানে বম জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে পানছড়িতে বিক্ষোভ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ,গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম,পার্বত্য নারী সংঘ।

 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পার্বত্য বান্দরবানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদপুষ্ট নব্যমুখোশ-সংস্কারপন্থীদের একটি সশস্ত্র দল রুমার জারভারাং পাড়া থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সহ ২২ জনকে অপহরণ করে সীমান্তবর্তী রোয়াংছড়ির খামতাং পাড়া স্কুলে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ১৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হলেও পরদিন ৭ এপ্রিল সকালে ‘দু পক্ষের গোলাগুলি’র নাটক সাজিয়ে বাকীদের নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। অবিলম্বে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে ৯ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার দুপুরে সীমান্ত ইউনিয়ন লোগাং আমতলী বটতলা হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে, আমতলী বাজারে সড়কে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আপারেশনের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা সহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা, বম জাতিগোষ্ঠীর ৮ গ্রাম বাসীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবির শ্লোগানে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,পার্বত্য আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক সম্রাট চাকমা, পার্বত্য চট্রগ্রাম নারী সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সভাপতি এস মঙ্গল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পানছড়ি উপজেলা কমিটির সভাপতি তৃঞ্চাকর চাকমা ও পিসিপি সাধারণ সম্পাদক সুনীল চাকমা প্রমূখ।

 

উল্ল্যেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস সংস্কার)  সদস্যদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। পরে শুক্রবার সকালে সেখানে জলপাই রংয়ের পোশাক পরিহিত আটজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসে। ১৯৫টি পরিবার। তারা এখন রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও রুমা উপজেলার বাম কমিউনিটি হলে আশ্রয় নিয়েছেন।

এ ঘটনায় পুলিশের দাবি পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেএনএফ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস সংস্কার) মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

Related Articles

Back to top button