Breakingখাগড়াছড়িচট্টগ্রাম অঞ্চলপার্বত্য অঞ্চলরাঙ্গামাটিশীর্ষ সংবাদসারাদেশ

পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে বাঘাইছড়ি

চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, বাঘাইছড়ি , রাঙ্গামাটি : অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার দরুন সাজেক ইউনিয়নের বাঘাই হাট বাজারের আশ পাশের এলাকা, বঙ্গল তলী ইউনিয়নের বাজার এলাকা, পৌরসভার মাষ্টার পাড়া, পুরাতন মারিশ্যা, তুলাবান, মুসলিম ব্লক, বটতলী ও আমতলী ইউনিয়নের প্রায় ১০ টি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

টানা বর্ষনে মারিশ্যা দিঘিনালা সড়ক ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি ধসের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে বসবাস কারী স্থানীয়দের সতর্ক করে মাইকিং করে সকলকে নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উপজেলার ১৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পৌর মেয়র জমির হোসেন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে উদ্ধার তৎপরতার জন্য নৌকা ও টলার বোট দিয়েছেন। এসব বোটে করে ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার পশ্চিম মুসলিম ব্লক আয়নামতি আজিজ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের ব্যাক্তিগত সহায়তা ছাড়া এখনো সরকারী কোন সহায়তা পৌছেনি আশ্রয় কেন্দ্রে।

বন্যা মোকাবিলা ও স্থানীয় পর্যায়ে জরুরী সহায়তা পৌছে দিতে এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সতর্কতার সহিত প্রস্তুত রয়েছি। এরই মধ্যে পৌরসভার এক নং ওয়ার্ড মাষ্টার পাড়া, পুরান মারিশ্যা, মধ্যম পাড়ার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। তাদের পালিত গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী উচু এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে অবিরাম বৃষ্টিতে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাঘাত ঘটছে।

বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির হোসেন বলেন, রাত আড়াইটা থেকে বিভিন্ন লোকজন আমরা উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছে দিচ্ছি এই মুহূর্তে তাদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন।

Related Articles

Back to top button