পার্বত্য অঞ্চলে তরমুজের বাজারে আগুন
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির প্রতিটি উপজেলায় হঠাৎ তরমুজের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী ! মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি তরমুজের দাম বেড়েছে তিনগুন। গত সপ্তাহে যেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা সে তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ধরে। তাপমাত্রা যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেমনি বাড়ছে তরমুজের দাম।
প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। তাপদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে ইফতারে ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা তরমুজই পছন্দ করেন। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেররা। এরইমধ্যে করোনায় লকডাউনে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং না থাকায় সিন্ডিকেট করে খাগড়াছড়ি লাইনে তরমুজ ব্যবসায়ীরা মনমতো তরমুজের দাম বাড়িয়েছেন। প্রচুর সরবরাহ থাকলেও সংকট ও পরিবহন সমস্যার কথা বলে তরমুজের দাম বেশি নিচ্ছে। অথচ কাঁচা মাল বা পণ্যবাহী মালামালা পরিবহনে সরকারী কোন বিধি নিষেধ না থাকলেও ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন।
সাধারণত রোজার সময় ফলের কদর বাড়ে। ফল ছাড়া ইফতার যেন কল্পনাই করা যায় না। এদিকে গ্রীষ্মকাল শুরু হলেও পরিপক্ব না হওয়ায় বাজারে এখনও আসেনি চাহিদা অনুযায়ী মৌসুমী ফল। তাই বাজারে থাকা গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের ওপরই এখন ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। এরমধ্যে কয়দিনের টানা তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে মানুষ তরমুজ ফলের দিকে ঝুকলেও কেনার সাধ্য নেই।
আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা তরমুজের দাম হাঁকাচ্ছেন ইচ্ছেমতো। এই মধ্য এপ্রিলের শুরুতে যে তরমুজের ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ছিলো এপ্রিলের শেষ দিকে সে তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ কিংবা ৫০০ টাকারও বেশি দামে। ফলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রমজানে দাম সহনশীল রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও রোজা শুরুর পর সেই প্রতিশ্রুতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।