পানছড়ি ও দীঘিনালা সীমান্তে ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর বন্দুকযুদ্ধ
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলা ও দীঘিনালা উপজেলা সীমানায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ)’র সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ)’ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে । পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের দুর্গম পার্বত্য এলাকার হরণসিং পাড়ার উত্তর পূর্ব এলাকা ও দীঘিনালা উপজেলার নাড়াইছড়ির উত্তর পশ্চিমে দুর্গম সিরেন্দি পাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ।
গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, ২০১৫-১৬ সালের মাঝামাঝিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের মধ্যে যুগপদ আন্দোলনের একটি সমঝোতা চুক্তির শর্ত ছিল যে, একে অপরের সাংগঠনিক এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস(সন্তু) দলের সশস্ত্র গ্রুপ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের সাংগঠনিক এলাকায় অবস্থান করে আসছে। এ নিয়ে দু’দলের মাঝখানে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জনসংহতি সমিতি (সন্তু) দলের সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার দাবী জানিয়ে সাধারণ জনগণকে দিয়ে বহুবার মিছিল-সমাবেশ করিয়েছিল ইউপিডিএফ (প্রসীত) । ফলশ্রুতিতে বিরোধ রেষারেষি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
পানছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোক মুখে শুনেছি, তবে ঘটনাস্থল সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গম পার্বত্য এলাকায় হওয়ায় এখনো সেখানে যেতে পারি নাই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে ৩-৪ জন নিহত ও বেশ কয়েক জন আহত হওয়ার পাওয়া গেলেও সত্যতা পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় হতাহতের খবরা খবর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।