পানছড়ি উপজেলার রাকিব হোসেন হত্যাকান্ডে আবুল হাশেম নামে এক যুবককে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ
![](https://chengidarpon.com/wp-content/uploads/2021/04/আবুল-হাশেম-578x470.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার,চেঙ্গী দর্পন, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার মেধাবী কলেজ ছাত্র রাকিব হোসেন হত্যাকান্ডে আবুল হাশেম নামে এক যুবককে আটকের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী রিয়াজ এর আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার রাত আটটার দিকে পানছড়ি উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকার একটি চা দোকান থেকে আবুল হাশেমকে আটক করা হয়।
আটক আবুল হাশেম (২৩), মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও উল্টাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রিপন এর ছেলে।
এছাড়া ৩-রা মার্চ এ ঘটনায় তোলা মিয়া (২৪) নামে আরেক যুবককে আটক করা হয়েছিলো। তোলা মিয়া বর্তমানে হাজতে আছে। তোলা মিয়া একই উপজেলার আলীনগর এলাকার বাসিন্দা রঙ্গু মিয়ার ছেলে।
ওসি মো. দুলাল হোসেন আরও জানান, যদিও তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি পানছড়ি সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র রাবিক হোসেনকে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার এক মাস পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. রিপন ও তার দুই ছেলেকে অভিযুক্ত করে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিহত রাকিবের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিবের মা নিলুফা বেগম ও বাবা আলী হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. রিপন এর মেয়ের সঙ্গে রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ওই কারণে রিপন মেম্বারের ছেলে মো. হাশেম ও কাশেম রাকিবকে দু’বার বেধড়ক মারধরও করেছিলো।’
![](http://chengidarpon.com/wp-content/uploads/2021/04/আবুল-হাশেম-1-1024x768.jpg)
ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, প্রভাবশালী রিপন মিয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে অন্তত ২৮টি মামলা রয়েছে। হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে আসামিদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা নিয়েছে।’
রাকিবের পরিবারের এই সংবাদ সম্মেলনের ঠিক চার দিন পর ২৩-শে ফেব্রুয়ারী পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলো ইউপি সদস্য মো. রিপন ও তার পরিবার। তাদের দাবি সুনাম ক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
নিহত রাকিবের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মো. রিপন বলেন, ‘রাকিবের সঙ্গে তার মেয়ের যোগাযোগ থাকলেও মৃত্যুর দুই মাস আগে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। রাকিবকে মারধরের বিষয়টিও অসত্য। মূলত আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুনাম ক্ষুন্ন করতে নিহত রাকিবের বাবাকে দিয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।’
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দুলাল হোসেন (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) জানান, রাকিব হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর আদালতে হাজির করে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিলো, তবে আদালত বিবেচনা করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।