পানছড়ির সাওতাল পাড়ায় মডেল ভিলেজে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে গাভী বিতরণ
চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক,পানছড়ি,খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সাঁওতাল পাড়ায় এসআইডি – সিএইচটি প্রকল্পের আওতায় জিওবি অর্থায়নে মডেল ভিলেজের দরিদ্র পরিবার সমুহের মাঝে গাভী বিতরন করা হয়।
০৩ জানুয়ারী ২০২২ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশিরুল হক ভুঞার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
অন্যান্যদের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্বাহি কর্মকর্তা টিটন খীসা, জেলা পরিষদের সদস্য নিলোৎপল খীসা, ইউএনডিপি জেলা ম্যানেজার প্রিয়তর চাকমা, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, পানছড়ি উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জয়নাথ দেব, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাঁওতাল শিল্পীগোষ্টীর সদস্যরা নৃত্য পরিবেশন করে। প্রধান অতিথি হিসাবে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন,বর্তমান সরকার যেখানে আগামী ২ বছরেও বিদ্যুৎ পেীছানো সম্ভব হবে না ,সেখানেই সৌর প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন। আপনাদের জীবন জীবিকার উন্নত করতে গাভী দেওয়া হচ্ছে ,সৌর প্যানেলের মাধ্যমে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলা সামগ্রী সহ সকল উপকরণ সরকারী সহযোগীতায় জেলা পরিষদ বাস্তবায়ন করছে। এরই পাশাপাশি আপনাদেরকে ইউএনডিপি সহযোগীতা করছেন। একটি মডেল গ্রাম সমাজের মাঝে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
সাওতাল পাড়ায় মডেল ভিলেজের সর্দার মিলন সাঁওতাল জানান, সরকার আমাদের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্টির সাওতালদের ঘড় বানিয়ে দিয়েই শেষ করেননি। আমাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে স্বাবলম্ভিও বানাচ্ছেন। জৈব সার প্রস্তুত করণ,পশু পালন সহ সকল বিষয়ে কাজ শিখিয়েছেন। আজ আমাদের মাঝে গাভী,শীতের কম্বল, বাদ্যযন্ত্র, সৌর প্যানেল,ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা করায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সহ পার্বত্য জেলা পরিষদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য মডেল ভিলেজে পার্বত্য জেলা পরিষদের জিওবি-র অর্থায়নে সোলার প্যানেলের ২টি সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ৫০টি স্যানেটারী ল্যাট্টিন সহ বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম সহ আয় বৃদ্ধিকরণ কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়াও ২০ পরিবারকে ২০ টি গাভী , ১০০ শীতের কম্বল ও বাদ্যযন্ত্র দেওয়া হয়েছে।