Breakingখাগড়াছড়িপার্বত্য অঞ্চলসারাদেশ

পানছড়িতে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪-এর কো অর্ডিনেশন মিটিং অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,খাগড়াছড়ি:
সারাদেশের ন্যায় জেলার পানছড়ি উপজেলায় ইপিআই সদর দপ্তর,ঢাকা’র আয়োজনে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন -২৪ অক্টোবর থেকে চলমান আছে।

 

৭ নভেম্বর ২০২৪ ,বৃহস্পতিবার ১২ টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মৌমিতা দাশ-এর সভাপতিত্বে সভায় হালনাগাদ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ পাড়া কেন্দ্র সমুহে কিশোরীদের টিকা গ্রহনের আনুপাতিক হার বিশ্লেষণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডাক্তার অনুতোষ চাকমা।

 

এ সময় পানছড়িতে ২৪ অক্টোবর ২০২৪ হতে চলমান টিকাদান ক্যাম্পেইনে বাদ পরা কিশোরী শিক্ষার্থী দের সনাক্তকরন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে কিভাবে তাদের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে টিকাদানের আওতায় আনা যায়, এ সব বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়।

 

উপজেলা নির্বাহি অফিসার মৌমিতা দাশ বলেন, স্কুল পর্যায়ে ১০ দিন, কমিউনিটি পর্যায়ে ৮ দিন ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত টিকাদান ক্যাম্পেইন চলছে। এখানে যেন কারো গাফিলতিতে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কোন কিশোরী বাদ না পরে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করেন। নারীদের জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগে ইপিআই সদর দপ্তর,ঢাকা’র আয়োজনে প্রাথমিকভাবে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীর কিশোরী ও ১০- ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের মাঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। তাই আমাদের উচিৎ ছাত্রীদের এবং বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না অথবা ঝড়ে পড়া ১০ বছর থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদেরএইচপিভি টিকাদানের আওতাভুক্ত করা ।

 

অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম মজুমদার, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মিতু চাকমা, চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা, পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলি আহাম্মদ, পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার তত্বাবধায়ক মাওলানা আবুল কাশেম,ছাত্র সমম্বয়ক, সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন ।

 

উল্লেখ্য ,পানছড়িতে ৫ম শ্রেনী হতে ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। গত ২৪ অক্টোবর হতে পানছড়ির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫ ইউনিয়নের ৯টি টিকাদান কেন্দ্র ছাড়াও উপজেলা সদর হাসপাতালে রেজিষ্ট্রেশন ভুক্ত কিশোরীদের টিকা প্রদান চলছে।

Related Articles

Back to top button