দুইজনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন, ৭ জন খালাস
সিনহা হত্যা মামলা

চেঙ্গী দর্পন, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার :অবসর প্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহার ছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এতে এপিবিএন’র তিন সদস্যসহ ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে ৬ জনকে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টার পর কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটে এই মামলার ১৫ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালত চত্বরে আনা হয়। ২টা ২৫ মিনিটে এজলাসে এসে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর মামলা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করেন বিচারক। এরপর শুরু করেন অপরাধের পর্যবেক্ষণ বয়ান। সাক্ষ্য প্রমাণে কার কী অপরাধ দাঁড়িয়েছে সেসব তুলে ধরার পর হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অপরাধ অনুসারে সাজা ঘোষণাকালে প্রধান দুই অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকে আদালতপাড়ায় সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন সিনহার মা-বোনসহ বাদী ও বিবাদীপক্ষের স্বজনরা।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
হত্যাকান্ডের চারদিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।