চেঙ্গী দর্পন প্রতিবেদক, সিংগাইর , মানিকগঞ্জ :
বারো বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে জন্ম দিয়েছেন সন্তান। কিন্তু ধর্ষণকারীর বিষয়ে মুখ খোলেননি শিশুটি। তার মা একজনকে আসামী করে মামলা করলেও তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দেড় বছর পর বেরিয়ে এলো ধর্ষণের পর জন্ম নেওয়া শিশুর জৈবিক পিতার পরিচয়।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নুর আলমকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। সে খাসের চর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর সে গর্ভবতী হলে ছয় মাস পর বিষয়টি টের পান পরিবার। ভিকটিমের মা বাদি হয়ে গত বছরের ৬ আগস্ট ২০২২ ওই গ্রামের মোহন (৬০) নামে একজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান। এরপর এজাহারে নাম না থাকলেও গত বছরের ২৮ নভেম্বর তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ মহিদুরকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।
এদিকে গত বছরের ১ নভেম্বর ভিকটিমের গর্ভের ওই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। আলিফ নামে ভূমিষ্ঠ ওই ছেলে সন্তানের বয়স বতর্মানে ১০ মাস। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহার নামীয় একজনসহ স্থানীয় আরও দুজনের ডিএনএ পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাদের তিনজনের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। পরে স্থানীয়দের কাছে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেশি নূর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার করান পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী অব বাংলাদেশ থেকে নুর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী নুর আলম ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া ওই শিশুর জৈবিক পিতা। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে রাতেই নুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর আলম ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার দুপুরে তাকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়।